আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী, উত্তর কোরিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রকে হুমকিস্বরূপ অস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
জাপানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাদের জলসীমার মধ্যে কোনো ধ্বংসাবশেষ পড়েনি।
টোকিওর দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান জানায়, উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূল থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে এবং তা জাপানের বিশেষ নিরাপত্তা অঞ্চলের বাইরে সাগরে পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, এক বছর আগে তারা (উত্তর কোরিয়া) সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল। এই পরীক্ষা আমাদের দেশ এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য হুমকিস্বরূপ। এটি জাতিসংঘের প্রস্তাবেরও লঙ্ঘন।’
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার দক্ষিণ হ্যামগিয়ং প্রদেশ থেকে জাপান সাগরে দুটি ‘অজানা প্রক্ষেপণ’ চালানো হয়েছে। কোরিয়ায় এই সাগর পূর্ব সাগর নামে পরিচিত। এই ডিভাইস সম্পর্কে তাৎক্ষনিকভাবে আর কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।’
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ব্লু হাউস জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের বৈঠকে বসবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য আসেনি।
কয়েকদিন আগেই পীতসাগরে দুটি নন-ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মঙ্গলবার এ সম্পর্কে বাইডেন বলেন, এই পরীক্ষাকে যুক্তরাষ্ট্র উসকানি হিসেবে দেখছে না। ওই স্বল্প দৈর্ঘের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আর্টিলারি বা ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে যা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুযায়ী উত্তর কোরিয়ার জন্য নিষিদ্ধ নয়।