আইএমএফের প্রথম উপব্যবস্থাপনা পরিচালক জিওফ্রে ওকামটো বলেন, আগামী এপ্রিলের শুরুতে জানুয়ারিতে দেয়া ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস হালনাগাদ করা হবে।
চীন ডেভেলপমেন্ট ফোরামকে দেয়া বক্তব্যে ওকামটো উন্নত অর্থনীতি ও বহির্গামী অর্থনীতির মধ্যকার পার্থক্যের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কারণ মহামারীর কারণে অন্তত নয় কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমেছে। চীন এরই মধ্যে করোনার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠে প্রাক-মহামারীকালের পর্যায়ে ফিরে এসেছে। যদিও ব্যক্তি খাত এখনো বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। চীনের বাইরে উন্নত ও উদীয়মান বাজারের অর্থনীতির মধ্যে বেশ বড় ফারাক রয়ে গেছে।
চীনকে বাদ দিলে উদীয়মান ও উন্নয়নশীল দেশগুলোয় ২০২০ ও ২০২২-এর মধ্যবর্তী সময়ে মাথাপিছু আয় মহামারীর আগের সময়ের চেয়ে ২২ শতাংশ কমবে। ফলে আরো বেশিসংখ্যক মানুষ দরিদ্র হবে। আর কতদিন এই মহামারী চলবে, তারও কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। ওকামটো বলেন, সব দেশেই নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা বিতরণের প্রক্রিয়াটি অসম। তাই কবে নাগাদ আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা অনিশ্চিত।
আইএমএফের এ কর্মকর্তা বলেন, কিছু দেশের পক্ষে মহামারী মোকাবেলায় ব্যয় বাড়িয়ে অর্থনীতির ক্ষতিকর প্রভাব কাটিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। বিশেষ করে উচ্চ ঋণের স্বল্প আয়ের দেশগুলোয়। পাবলিক ও ব্যক্তি খাতে উচ্চ ঋণ নেয়ার মতো সংকটপূর্ণ অর্থনৈতিক অবস্থা দেশগুলোকে নাজুক করে তোলে। এ সংকট গভীর ক্ষত সৃষ্টি করবে বলেও সতর্ক করেন তিনি। সূত্র: রয়টার্স।