ইতোমধ্যে সহায়তার অর্থ ছাড়ের জন্য মঞ্জুরি আদেশ জারি করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সহায়তার অংশ হিসেবে উফশী আউশের ক্ষেত্রে ভিত্তি বীজ প্রতি কেজি ৫৮ টাকার স্থলে ৪৮ টাকা এবং প্রত্যায়িত বা মান ঘোষিত বীজ ৫০ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা দরে কৃষকের কাছে বিক্রি করা হবে।
আদেশে বলা হয়েছে, উপজেলাওয়ারী বরাদ্দ অনুযায়ী ডিলাররা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিএডিসি থেকে সহায়তা মূল্যের বীজ উত্তোলন করে উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির কাছে বীজের জাত ও পরিমাণ উল্লেখ করে ২৪ ঘণ্টা মধ্যে অ্যারাইভাল রিপোর্ট দেবেন।
বিএডিসির জেলা-উপজেলা বীজ বিক্রয় কেন্দ্র থেকেও সহায়তামূল্যে বীজ বিক্রি করা যাবে। উপজেলা কৃষি অফিসার সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষকদের একটি অগ্রাধিকার তালিকা প্রস্তুত করে উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির অনুমোদন নিয়ে বীজ ডিলার, বিএসডিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠাবে।
সংশ্লিষ্ট ডিলাররা ক্যাশ মেমোর মাধ্যমে তালিকাভুক্ত আগ্রহী কৃষকদের কাছে বীজ বিক্রি করবেন। সংশ্লিষ্ট ডিলাররা কম মূল্যে আউশ ধানের বীজ কেনা কৃষকের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর, কৃষি উপকরণ কার্ড নম্বর এবং কৃষি উপকরণ কার্ড না থাকলে এনআইডি নম্বর বীজ বিক্রয় রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করবেন।
আগামী জুন মাসের মধ্যে পুরো উফশী আউশ ধান বীজ সহায়তা মূল্যে বিক্রি কার্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে। বিএডিসির চেয়ারম্যান ৩০ জুনের মধ্যে উফশী আউশ বিক্রি কার্যক্রমের ওপর একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন বলে মঞ্জুরি আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।