মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাজধানীর হোটেল সোনাগাঁওয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দেশের পোশাক কারখানা মালিকদের শীর্ষ জোটটির পক্ষ থেকে এ ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
এ সময় বিজিএমইএ’র বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক এবং ফোরামের প্যানেল লিডার এ বি এম সামছুদ্দিনসহ পোশাক খাতের নেতৃস্থানীয় উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ‘ফোরাম’ নেতৃবৃন্দ ২০১৯-২০২১ মেয়াদে ড. রুবানা হকের নেতৃত্বে বিজিএমইএ পরিচালনা পর্ষদের নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে। এই পর্ষদ বৈশ্বিক মহামারির সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রাণ, পোশাক শিল্পকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতায় বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করেছে। তবে আগামী দুই বছর পোশাক শিল্পকে অত্যন্ত কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং সময় হিসেবে পার করতে হবে। এ সময়ে বিজিএমইএতে সৎ, নিষ্ঠাবান, কর্মঠ ও অভিজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত শক্তিশালী বোর্ড প্রয়োজন। ফোরাম সেই বোর্ড উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচিত হলে ব্যবসার সার্বিক অবস্থা ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ফোরাম ‘সাসটেইনেবল ইন্ডাস্ট্রি’ গড়ে তুলতে কাজ করবে।
ফোরামের মূল ইশতেহারটি ১৩ ভাগে বিভক্ত। এগুলো হলো, ভাবমূর্তি, ব্যবসা পরিচালন ব্যয় কমানো এবং সহজীকরণ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, রুগ্ন শিল্প ও এক্সিট পলিসি, পণ্যের দাম ও ক্রেতার জবাবদিহিতা, শিল্পের নিরাপত্তা ও নিজস্ব সক্ষমতা, বাজার সম্প্রসারণ, প্রযুক্তি সক্ষমতা, এলডিসি গ্রাজুয়েশন, দক্ষতা ও উদ্ভাবন, সাসটেইনেবিলিটি ও এসডিজি, শ্রমিক কল্যাণ এবং স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন বিজিএমইএ।
ফোরামের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত দুই বছরে আমাদের অনেক অর্জন আছে এবং অনেকগুলো কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এবারের ইশতেহারে আমরা কি কি পদক্ষেপ নিলে আগামীতে এই শিল্প টিকে থাকবে এবং আগামী দুই বছরে করে দেখানো সম্ভব এমন সব প্রস্তাবনাই তুলে ধরেছি।