চট্টগ্রাম বন্দর ও ডিপোতে জায়গা তৈরি করতে সোমবার (২৯ মার্চ) সকালে এ কাজ শুরু করে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস কর্তৃপক্ষ।
কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে একসঙ্গে এত বিপুল পরিমাণ পণ্য ধ্বংস করা হয়নি। এর ফলে বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনারের চাপ কিছুটা হলেও কমে আসবে। সময় মত পণ্য ডেলিভারি না নেওয়ায় গত মাস থেকে বন্দরে জটের আশঙ্কা দেখা দেয়, বন্দর কর্তৃপক্ষ আমদানি পণ্য বোঝাই কনটেইনার দ্রুত সরিয়ে নিতে ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানান।
কিন্তু স্টোর রেন্ট দ্বিগুণ করার পরেও কনটেইনার ডেলিভারিতে গতি না আসায় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নেয়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার ডেপুটি কমিশনার ফয়সাল বিন রহমান বলেন, '২৯৮ কনটেইনারে ধ্বংসযোগ্য পণ্য রয়েছে ছয় হাজার টন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে ফিশ ফিড। এ ছাড়া আপেল, কমলাসহ বিভিন্ন ধরনের ফলমূল ও ফিশ অ্যান্ড মিট বোন মিলসহ কয়েক ধরনের পণ্য রয়েছে। এগুলো ২০১০ সাল থেকে ২০২০ সালের মধ্যে আমদানি করা হয়েছিল। সোমবার ২৭ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। নগরের উত্তর হালিশহরের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন একটি পাঁচ একর জায়গায় এসব পণ্য মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে। এই কাজ শেষ হতে অন্তত ১০ দিন সময়ের প্রয়োজন হবে।'
বাজারে দাম কমে গেলে লোকসানের আশঙ্কায় অনেক সময় পণ্য খালাস নেন না আমদানিকারকরা। আবার যখন দাম বাড়ে, ততদিনে কনটেইনারে থাকা ফলমূলসহ নানা রকম ভোগ্যপণ্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই আরও বড় লোকসানের আশঙ্কায় পচা পণ্য তারা শেষ পর্যন্ত না নিয়ে বন্দরেই ফেলে রাখেন। এসব পণ্য শেষ পর্যন্ত নিলামে বিক্রি করা হয়।
চট্টগ্রাম বন্দরে এই মুহূর্তে সাত হাজার শুধু নিলামযোগ্য টিইইউএস কনটেইনারই রয়েছে। প্রতি বছর এর পরিমাণ বাড়ছে। সময়মতো কনটেইনারের নিলাম না হওয়ায় একদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের মূল্যবান জায়গা দখল হয়ে আছে, পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।