বাণিজ্যিক নগরী দার-ইস-সালামে মাগুফুলির ওই শেষকৃত্যে হাজারো মানুষ অংশ নিয়েছিলেন। গত ১৭ মার্চ রহস্যজনক মৃত্যুর পর সেখানে এক স্টেডিয়ামে মাগুফলির মরদেহ রাখা হয়েছিল। দেশের প্রয়াত নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েই এসব মানুষ প্রাণ হারান।
দার-ইস-সালামের আঞ্চলিক পুলিশ কমান্ডার লাজারো মাম্বোসা মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘অনেক মানুষ স্টেডিয়ামে যেতে চাচ্ছিল। তাদের মধ্যে অনেকে অধৈর্য্য হয়ে ওঠেন। জোর করে ঢোকার চেষ্টা করার সময় পদদলনে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়।’
নিহতদের পাঁচজন একই পরিবারের বলেও জানিয়েছেন মাম্বোসা। তিনি আরও জানান, আরও এক নারী ও চার শিশু উহুরু স্টেডিয়ামের ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হানিয়েছেন। তারাও পদদলনের শিকার। পদদলনে প্রকৃতপক্ষে কতজনের মৃত্যু হয়েছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
[caption id="attachment_56446" align="alignnone" width="800"] তানজানিয়ার সদ্যপ্রয়াত প্রেসিডেন্ট জন মাগুফুলি[/caption]
আঞ্চলিক ওই পুলিশ প্রধান আরও জানিয়েছেন, প্রয়াত প্রেসিডেন্টকে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ৪৫ জনের মৃত্যু ছাড়াও আরও অনেকে আহত হয়েছেন। এরপর তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবশ্য বেশিরভাগই এখন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন।
তানজানিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত পূর্বপুরুষের গ্রাম ছাটোতে গত ২৬ মার্চ সমাহিত করার আগে মাগুফুলির মরদেহ দেশের প্রধান প্রধান শহর দার-ইস-সালাম, দোদমা, জাঞ্জিবার, মাওয়ানজা ও গিয়েতাতে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা জানানো জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
লাইনে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ যখন মাগুফুলির মরদেহ’র পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখন তাদের বেশিরভাগকে কাঁদতে দেখা যাচ্ছিল।