এছাড়া নীতিমালায় পূর্ণাঙ্গ উত্সব ভাতার সুযোগ সৃষ্টি এবং আরেকটি নীতিমালা প্রণয়ন সাপেক্ষে বদলির সুযোগও রাখা হয়েছে। তবে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের অভিজ্ঞতা তিন বছর বাড়িয়ে ১৫ বছর করা হয়েছে।
বেতন-ভাতার ব্যাপারে নীতিমালায় বলা হয়েছে, শিক্ষক-কর্মচারীদের মূল বেতন ও বোনাসের নির্ধারিত অংশ, উত্সব ভাতার নির্ধারিত অংশ, বৈশাখী ভাতার নির্ধারিত অংশ সরকারের জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অথবা সরকারের সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেলের সঙ্গে অথবা সরকারের নির্দেশনার সঙ্গে মিল রেখে করতে হবে।
জানা যায়, বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকারের সর্বশেষ বেতন স্কেল অনুযায়ী মূল বেতন পেয়ে থাকেন। তবে শিক্ষকরা মূল বেতনের ২৫ শতাংশ ও কর্মচারীরা ৫০ শতাংশ উত্সব বোনাস পান। তারা শতভাগ বোনাস পেতে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছেন। এছাড়াও তাদের কোনো বদলির সুযোগ নেই। তবে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী শতভাগ উত্সব বোনাস ও বদলির সুযোগ সৃষ্টি হলো।
জানা গেছে, ২০১৮ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি পেতে নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে ২০০ ও মফস্সলে ১৫০ জন শিক্ষার্থী, মাধ্যমিকে শহরে ৩০০ ও মফস্সলে ২০০, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ৪৫০ ও মফস্সলে ৩২০, উচ্চমাধ্যমিক কলেজে শহরে ২০০ ও মফস্সলে ১৫০ এবং ডিগ্রি কলেজে শহরে ২৫০ ও মফস্সলে ২০০ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। আর পাশের হার হতে হবে ৭০ শতাংশ।
তবে ২০২১ সালের নীতিমালা অনুযায়ী, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি পেতে নিম্ন মাধ্যমিকে শহরে ১২০ ও মফস্সলে ৯০, মাধ্যমিকে শহরে ২০০ ও মফস্সলে ১৫০, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শহরে ৪২০ ও মফস্সলে ৩২০, উচ্চমাধ্যমিক কলেজে শহরে ২৫০ ও মফস্সলে ২২০ এবং ডিগ্রি কলেজে স্নাতকে শহরে ৪৯০ ও মফস্সলে ৪২৫ জন শিক্ষার্থী থাকতে হবে। পাশের হার স্তরভেদে সর্বনিম্ন ৪৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া নতুন এমপিও পেতে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে শিক্ষার্থী সংখ্যায় ৩০, পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ ও পাশের হারে ৪০ নম্বর রাখা হয়েছে।