সোমবার মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল আনতে বাধ্য হন বোলসোনারো। তার পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পদত্যাগ করায় তিনি আকস্মিক এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন বোলসোনারো। তার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ক্ষোভ এবং হতাশা তৈরি হয়েছে।
দুই বছর আগে দায়িত্ব গ্রহণ করা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট বোলসোনারোর দাবি, লকডাউন জারি করলে তা অর্থনীতিতে ধস নামাবে। তিনি মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা এমনকি কোয়ারেন্টাইনেরও পক্ষে নন।
গত কয়েক সপ্তাহে দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। অক্সিজেন সঙ্কট, অপর্যাপ্ত ওষুধ এবং হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ায় আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
দেশটির ২৬টি রাজ্যের প্রায় প্রতিটিতে ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বিছানা এবং ওষুধের অভাবে হাসপাতালের মেঝেতেই অনেক রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এছাড়া অক্সিজেনের অভাবেও বহু রোগী প্রাণ হারাচ্ছে।
এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য বোলসোনারো সরকারকেই দায়ী করা হচ্ছে। মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ব্রাজিলে প্রায় ৩ লাখ ১৪ হাজার মানুষ মারা গেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ২৬ লাখ ৬৪ হাজার ৫৮। এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুতে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান দ্বিতীয়।