স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি ও মুজিববর্ষকে সামনে রেখে বিনিয়োগ গ্রহণকারী স্টার্টআপসমূহের সর্বপ্রথম সিরিজের নাম ঘোষণা উপলক্ষে আয়োজিত এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। সে সঙ্গে বুধবার (৩১ মার্চ) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি স্টার্ট আপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ‘শতবর্ষে শত আশা’ শিরোনামে নতুন ক্যাম্পেইন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই ক্যাম্পেইনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন ডাক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা বিষয়ক উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৫০টি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান, যারা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নকে সামনে রেখে নতুন কাজের সুযোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। এর পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তাদের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। এইসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে সামগ্রিকভাবে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড ৷ এর লক্ষ্য হবে- সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ও ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপরেখা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখা।
প্রথম সিরিজে বিনিয়োগ গ্রহণকারী সাতটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আছে- পাঠাও, ঢাকা কাস্ট, মনের বন্ধু, চালডাল, এডুহাইভ, সেবা ডট এক্স ওয়াই জেড এবং ইনটেলিজেন্ট মেশিনস। এই স্টার্টআপগুলোতে সামগ্রিকভাবে ১৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা তাদের পণ্য বা সেবার মান উন্নয়ন, উৎপাদন বৃদ্ধি, বিপণন ও সাপ্লাই-চেইন ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি ডিভিশন) এর সিনিয়র সচিব ও স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড –এর চেয়ারপার্সন এন. এম. জিয়াউল আলম, স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), টিনা জাবীন প্রমূখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড-এর বোর্ড সদস্য বৃন্দ।
অনুষ্ঠানে জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, এই কোম্পানির মাধ্যমে সরকার উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বিশেষ সুযোগ তৈরি করেছে। এতে উদ্যোক্তাসমূহ সমস্ত প্রকারের আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে তাদের কার্যক্রমের পরিসর বাড়াতে পারবে।
এন. এম. জিয়াউল আলম বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে বিনিয়োগ গ্রহণকারীদের প্রথম সিরিজটি প্রকাশ করতে পেরে আমরা গর্বিত। একই সঙ্গে সামাজিকভাবে কার্যকর ও সম্ভাবনাময় স্টার্টআপে ২০২১ সালে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিকাশে অবদান রাখতে পারবো বলে আশা করছি।
টিনা জাবীন বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের সম্ভাবনা অনেক বেশি। স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ারে ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারায় আমি অত্যন্ত গর্বিত।