জানা গেছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে প্রায় দুই কোটি মানুষের কাজের সুযোগ তৈরি হবে।
‘আমেরিকান জব প্ল্যান’ নামের এই প্রকল্পের আওতায় সবচেয়ে বেশি ব্যয় করা হবে যোগাযোগব্যবস্থা এবং বিশুদ্ধ পানি ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের অবকাঠামো উন্নয়নে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নে ৮ বছরে ৬২ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করা হবে। বছরে খরচ করা হবে ৭ হাজার ৭৫০ কোটি ডলার। বিশুদ্ধ পানি ও উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটে পেছনে ব্যয় করা হবে ৬৫ হাজার কোটি ডলার। বছরে বিনিয়োগ করা হবে ৮ হাজার কোটি ডলার। বাইডেনের এ পরিকল্পনায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন খাতে বিনিয়োগ করা হবে পাঁচ হাজার কোটি ডলার। গবেষণা সক্ষমতা বাড়াতে আট বছরে ব্যয় করা হবে চার হাজার কোটি ডলার।
যুক্তরাষ্ট্র যখন অবকাঠামো উন্নয়নে এমন বিশাল বিনিয়োগের ঘোষণা দিল তখন চীন ২০২০ সালে যোগাযোগ খাতে ব্যয় ৫২ হাজার কোটি ডলার। পানি সংরক্ষণে ব্যয় করেছে ১১ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। টেলিকম খাতে বিনিয়োগ করেছে প্রায় ৬ হাজার কোটি ডলার। অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে খরচ করেছে তিন হাজার কোটি ডলার। আর গবেষণায় এশিয়ার দেশটি ব্যয় করেছে ২০০ কোটি ডলার।
বাইডেন প্রশাসনের নতুন এই পরিকল্পনার অন্যতম লক্ষ্য হলো চীনের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রতিযোগিতা জোরদার করা। একই সঙ্গে লাখ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ধনী-দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে অর্থনীতির মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসা।সূত্র: রয়টার্স।