বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন দীপা চট্টোপাধ্যায়, হাসপাতালেই চিকিৎসা চলছিল। অবশেষে সব লড়াইয়ে ইতি টেনে এদিন ভোর ৩টা নাগাদ প্রয়াত হন তিনি।
পৌলমী বসু বলেছেন, ‘বাপি (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়) চলে যাওয়ার পর থেকেই মা বেঁচে থাকবার ইচ্ছা হারিয়েছিলেন। সমানে বলে যেতে আমাদের এবার আমায় যেতে দে’।
গত ৪৫ বছর ধরে ডায়াবেটিস-এ ভুগছিলেন দীপা ভট্টাচার্য। রক্তজনিত বেশকিছু সমস্যাও ছিল, প্রয়োজন হয় নিয়মিত চিকিৎসার। কিডনির সমস্যার জেরেই সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। কিডনি বিকল হওয়ার জেরেই মৃত্যু হয়েছে দীপা চট্টোপাধ্যায়ের, খবর পরিবার সূত্রে।
১৯৬০ সালের ১৮ এপ্রিল মাসে বিয়ে হয়েছিল সৌমিত্র-দীপার। সৌমিত্রর পারিবারিক জীবনে ঠিক পর্বতের মতো মহীয়ান ছিলেন দীপা দেবী। সৌমিত্র সাফল্যের অন্যতম কাণ্ডারি তিনি, হাতেগোনা ছবিতে অভিনয় করেছেন দীপা চট্টোপাধ্যায়ও।
যার মধ্যে উল্লেখ্য, ‘বিলম্বিতলয়’, ‘গাছ’ ও ‘দূর্গা’। পর্দার ‘অপু’র সঙ্গে ছিল তার সাজানো সংসার। দীর্ঘ ছয় দশকের দাম্পত্য জীবনে ইতি টেনে আগে চলে গেলেন সৌমিত্র, আর মাস খানেকের মধ্যেই না ফেরার দেশে দীপা চট্টোপাধ্যায়। রেখে গেলেন কন্যা পৌমলী বসু ও পুত্র সৌগত চট্টোপাধ্যায়কে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, টাইমস অব ইন্ডিয়া