রোববার (৪ এপ্রিল) আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী নিজের সরকারি বাসভবন থেকে এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এসময় মন্ত্রী জানান, সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পণ্যপরিবহন, জরুরি সেবা, জ্বালানি, ঔষধ, পচনশীল পণ্য, ত্রাণবাহী পরিবহন, সংবাদপত্র, গার্মেন্টস সামগ্রী সরকারি নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মানা ও শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার আহবান জানিয়ে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ ব্যাপারে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও কঠোর হতে হবে। করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় আর কোনোভাবেই উদাসীনতা দেখানোর সুযোগ নেই, তাই হাট-বাজার, ফেরি, লঞ্চঘাট ও বাসস্ট্যান্ডসহ অন্যান্য জায়গায় গেলে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে।
সেতুমন্ত্রী ভাসমান অসহায় মানুষদের নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, এটাই এখন আওয়ামী লীগের একমাত্র রাজনীতি।
সারাদেশে সীমিত আকারে ঘরোয়াভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ দিয়ে আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সামান্য উদাসীনতায় দেশকে মৃত্যু উপত্যকায় নিয়ে যাবে, তাই নিজের জন্য হলেও শতভাগ মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
রমজানকে সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম না বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্যোগে জনগণের দুর্ভোগ বাড়াবেন না।
ধানমন্ডিতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।