উল্লেখ্য, অনলাইনে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে কাস্টমার ডাটাবেজ তৈরি করছে ওয়ালটন। এ উপলক্ষে দেশব্যাপী ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এ প্রক্রিয়ায় ক্রেতার নাম, ফোন নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশনে ক্রেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে এসি কেনায় ২০০ শতাংশ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক এবং ফ্রি ইন্সটলেশনসহ বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। ২০ মার্চ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এসব সুবিধা থাকছে।
মিরপুরের পীরেরবাগ এলাকায় তরুণ ব্যবসায়ী রুবেলের রয়েছে নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ‘ব্র্যাদার্স মেটাল এন্টারপ্রাইজ’-এর স্বত্বাধিকারী তিনি। ১০ বছর ধরে এলাকায় ঠিকাদারি ব্যবসা করছেন। গত ২৩ মার্চ মিরপুর-১০ এর ওয়ালটন প্লাজা থেকে ১.৫ টনের এসি কিনেছিলেন। ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় পণ্যটির রেজিস্ট্রেশন করেন। এরপর ২০০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পাওয়ার মেসেজ যায় তার মোবাইলে।
বাসায় ওয়ালটনের ফ্রিজ, টেলিভিশন ও ফ্যানসহ অনেক পণ্য ব্যবহার করছেন দীর্ঘদিন ধরে। সেগুলো ভালো সার্ভিস দিচ্ছে। বাসায় ব্যবহারের জন্যই এসিটি কেনেন তিনি। রুবেল বলেন, ওয়ালটনের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। যখনই ইলেকট্রনিক্স পণ্য দরকার তখন ওয়ালটনের পণ্যই কিনি। সাশ্রয়ী দামে ভালো মানের পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। এসব কারণে ওয়ালটন থেকেই এসি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। এসি কিনে ২০০ শতাংশ ক্যাশব্যাক পেয়ে পরিবারের সবাই খুব খুশি। এই প্রথম পণ্য কেনায় কিছু ফ্রি পেলাম। ওয়ালটন থেকে একটি করে ফ্রিজার এবং ওয়াশিন মেশিন কেনার পরিকল্পনা করছি।
শনিবার (৩ এপ্রিল) ওয়ালটন প্লাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে রুবেলের হাতে ২০০ শতাংশ ক্যাশব্যাক তুলে দেন ওয়ালটনের কর্মকর্তারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটনের এসি সেলস মনিটরিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান জাহিদুল ইসলাম, এসি প্রডাক্ট ম্যানেজার মাহফুজুল আলম, মিরপুর জোনের এরিয়া ম্যানেজার অতনু রায়, এসির ব্র্যান্ড ম্যানেজার এস এম সাকিবুর রহমন এবং এসির মিরপুর জোনের মার্কেট মনিটর মাহবুব ই রাব্বি প্রমুখ।
এদিকে, সারা দেশে চলছে ওয়ালটনের ‘এসি এক্সচেঞ্জ’ ক্যাম্পেইন। এর আওতায় গ্রাহকেরা যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরনো এসি জমা দিয়ে ওয়ালটনের যেকোনো মডেলের নতুন এসি ২৫ শতাংশ ছাড়ে কিনতে পারছেন।
এসি বিভাগের কর্মকর্তার জানান, ওয়ালটনের প্রতিটি এসি আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ ছাড়ের পর বাজারজাত করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ গুণগত মানের এই আত্মবিশ্বাসে ওয়ালটনের ক্যাসেট ও সিলিং টাইপ কমার্শিয়াল এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা এবং কম্প্রেসার পাঁচ বছরের গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে। নগদ মূল্যের পাশাপাশি আছে সহজ কিস্তিতে কেনার সুযোগ।
ওয়ালটন এসি সেলস মনিটরিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান জাহিদুল ইসলাম জানান, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, হাসপাতাল, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, কনফারেন্স হলের মতো মাঝারি স্থাপনার জন্য ৪ ও ৫ টনের ক্যাসেট এবং সিলিং টাইপ এসি উৎপাদন ও বাজারজাত করছে ওয়ালটন। এছাড়া, বড় স্থাপনার জন্যও ওয়ালটনের আছে ভেরিয়্যাবল রেফ্র্রিজারেন্ট ফ্লো বা ভিআরএফ এবং চিলার। যদিও আবাসিক ব্যবহারের জন্য রয়েছে অসংখ্য মডেলের ১, ১.৫ ও ২ টনের স্পিøট টাইপ এসি। এসব এসিতে এক বছরের রিপ্লেসমেন্টের পাশাপাশি কম্প্রেসার ১০ বছরের গ্যারান্টি দেওয়া হচ্ছে।
দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে আইএসও সনদপ্র্রাপ্ত সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় সারা দেশে ওয়ালটনের রয়েছে ৭৬টি সার্ভিস সেন্টার। যেখানে কাজ করছেন আড়াই হাজারেরও বেশি সার্ভিস এক্সপার্ট। ওয়ালটনের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রকৌশলী এবং টেকনিশিয়ানরা প্রতি ১০০ দিন পর পর এসির ক্রেতাদের ফ্রি সার্ভিস দিচ্ছেন।