চারাগাছ বড় হতে সূর্যের আলোর বড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যধিক সূর্যালোক মাটির জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি চারার জন্যও বটে। চারাগাছে পর্যাপ্ত পানি দেয়া না হলে সূর্যের প্রখর রোদ মাটি থেকে পানি শুষে নিয়ে রুক্ষ করে দেয়।
এই গরমে প্রথমত কী পরিমাণ পানি চারাগাছে দিতে হবে এবং মাটিতে কী পরিমাণ পানি দিতে হবে সেই বিষয়ে সচেতন হতে হবে। অপরদিকে চারাগাছে প্রয়োজনীয় সার দেয়া জরুরি। সঠিকভাবে চারা বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত আলো-বাতাস।
প্রাকৃতিকভাবে প্রাপ্ত আলো বাতাসে গাছ খুব দ্রুত বেড়ে ওঠে। যে কোনো জাতের গাছের জন্য যা খুবই দরকারি। তাই বাড়িতে এমন স্থানে গাছ রাখুন, যেখানে নিয়মিত আলো-বাতাস পাওয়া যায়।
এবার কিছু জরুরি পরামর্শ জেনে নেয়া যাক
পানির ব্যবহার সম্পর্কে জানুন:
কোনো মৌসুমেই চারাগাছে অতিরিক্ত পানি দেয়া উচিত নয়। এই গরমে তিনবারের বেশি চারায় পানি দেয়া উচিত নয়, যদিও এই কথা নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে। পানি দেওয়ার আগে মাটির অবস্থা দেখে নিন। যদি মাটি স্যাঁতসেঁতে হয়, তাহলে শুধু চারার ওপর পানি আলতো করে ছিটিয়ে দিন। রাতে গাছে পানি দেয়া উত্তম, তাহলে সকাল পর্যন্ত তার স্থায়িত্ব থাকে।
বাগানে ভিন্ন রঙ যোগ করুন:
সবুজ বাগান দেখতে ভালোই লাগে। এই সৌন্দর্য আরো বেশি হতে পারে যদি আরো রঙিন ফুলের গাছ লাগানো হয়। গোলাপ ও অন্যান্য বিভিন্ন রঙের ফুল রোপণ করতে পারেন। যার কারণে আপনার বাগান আরো সুন্দর ও স্নিগ্ধ দেখাবে।
আগাছামুক্ত রাখুন:
আগাছা চারার বড় শত্রু। তাই আগাছার হাত থেকে চারাকে রক্ষা করতে আগাছা ছাটাই করুন। গরমে অনেক সময় চারা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। এসব আগাছা ছাঁটাই করলে চারার বিকাশ ত্বরান্বিত হবে এবং চারা সতেজ হবে।
সবুজ চারাকে সতেজ রাখুন:
আপনার যদি সবুজ বাগান থাকে, তাহলে সেগুলো সতেজ করতে আরো সচেষ্ট হোন। মাটির সঙ্গে প্রয়োজনীয় সার মেশান, তাহলে বাগান হবে আরো সবুজ ও সমৃদ্ধ। চা পাতা, ডিমের খোসা, গোবর আর শুকনো পাতা একসঙ্গে কয়েকদিন রোদে রেখে দিন। তাহলে খুব ভালো সারে পরিণত হবে। যা কুঁড়ি ও ফুলগাছের জন্য বেশ উপকারী।
সকাল-বিকাল স্প্রে করুন:
গরমে গাছের পাতা সজীবতা হারায়। অনেক সময় শুকিয়ে যায়। তাই গাছের পাতা সবুজ রাখতে কমপক্ষে দিনে দুইবার পানি স্প্রে করুন।