কর্মক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে ছাত্রীদের জন্য প্রযুক্তিগত ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রকল্প এবং করোনার প্রভাব মোকাবিলায় বাজেট সাপোর্ট হিসেবে ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার (০৬ এপ্রিল) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
এর আগে, সোমবার (০৫ এপ্রিল) দিনগত রাতে ভার্চুয়াল বিশ্বব্যাংক–আইএমএফ’র চলমান স্প্রিং মিটিং-২০২১ এর অংশ হিসেবে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদল ও বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টউইগ শ্যেফারের নেতৃত্বে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের মধ্যে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের সদস্য হিসেবে অংশ নেনে অর্থমন্ত্রী, অর্থসচিব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন। অন্যদিকে বিশ্বব্যাংকের পক্ষে ছিলেন হার্টউইগ শ্যেফার ও মার্সি মিয়াং টেম্বন।
এ সময় অর্থমন্ত্রী চলমান করোনা মহামারির কারণে দেশের ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমবাজার, আর্থিক ও সামাজিক খাত সচল রাখার লক্ষ্যে প্রোগ্রামেটিক জবস ডেভলপমেন্ট পলিসি ক্রেডিট (ডিপিসি) প্রকল্পের আওতায় সাপোর্ট এবং কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের জন্য ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নের জন্যও বিশ্বব্যাংককে ধন্যবাদ জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন কমবেশি ভালো অবস্থানে রয়েছে। এই সংকটময় পরিস্থিতির ভয়াবহতা প্রধানমন্ত্রী শুরুতেই অনুধাবন করতে পেরে দেশের সব ধরনের অর্থনৈতিক স্তরের মানুষের জন্য একের পর এক (এ পর্যন্ত ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকার) ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার ব্যবস্থা করেছেন। ইতিহাসে যা একটি বিরল সাহসী পদক্ষেপ।
আ হ ম মুস্তফা কামাল পরিবেশগত উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের জন্য প্রস্তাবিত প্রকল্পে পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, পরিবহন, নদী কেন্দ্রিক পর্যটনের উন্নয়নে টেকসই পরিবেশ-বান্ধব অবকাঠামো তৈরিসহ এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতার জন্য বিশ্বব্যাংককে অনুরোধ জানান।
দেশের সব নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে কোভিডের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরুর বিষয়টিও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংকের অব্যাহত সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। এছাড়াও কোভিড-১৯ মোকাবিলার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের গৃহীত দ্রুত ও সময়োপযোগী বিভিন্ন উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন তিনি।