প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ শিল্প কাঁচামাল এবং তুলা, সয়াবিন এবং গমসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্য আমদানি করি আমরা। এসব পণ্য বাংলাদেশে রপ্তানি করতে যুক্তরাষ্ট্রকে কোনো শুল্ক দিতে হয় না। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে পর্যাপ্ত নীতিগত সহায়তা জরুরি।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের যাত্রায় যুক্তরাষ্ট্র শক্তিশালী একটি অংশীদার হয়ে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হচ্ছে আমাদের রপ্তানির একটি বৃহত্তম গন্তব্য, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের বৃহৎ উৎস এবং প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ একটি উৎস।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বলেন, টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, দ্রুত বর্ধনশীল দেশিয় বাজার এবং ৪০০ কোটি লোকের বিশাল আঞ্চলিক বাজার যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের জন্য লাভজনক একটি বিনিয়োগ গন্তব্য।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের সুবিধার্থে এদেশ প্রতিনিয়ত অবকাঠামো, আইনি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নতিসাধন করছে। এছাড়াও বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী।