অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের পরিকল্পনা অধিশাখার যুগ্ম সচিব মোঃ আব্দুস সালাম খান এবং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এর এমসিএইচ সার্ভিসেস ইউনিটের পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর ডা. মোহাম্মদ শরীফ। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে ছিলেন দৈনিক সবুজের বার্তা সম্পাদক মোঃ মঈন উদ্দিন ও দ্যা বিজনেস স্টান্ডার্ড এর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বাবলি আকন্দ,
কৈশোর-বান্ধব সেবাকেন্দ্রসমুহের প্রতি সারা দেশের তরুণরা তাদের নিজ নিজ প্রত্যাশা, অভিজ্ঞতা বা সুপারিশ জানিয়ে অনুচ্ছেদ লিখন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে যেখানে তাদের অনুচ্ছেদসমূহ জাতীয়, স্থানীয় এবং অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত প্রকাশনার উপর সেরা ৩ জনকে সেরা বিজয়ী হিসেবে পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানটির স্বাগত বক্তব্যে সিরাক-বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত করোনা মহামারীতে যারা মৃত্যুবরণ করছেন তাদের জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং আক্রান্তদের দ্রুত সুস্থ্যতা কামনা করেন। সিরাক-বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম অফিসার নুসরাত শারমিন রেশমা প্রতিষ্ঠানটির কাজের ক্ষেত্র, কার্যক্রমটির উদ্দেশ্য ও কৈশোর-বান্ধব সেবাকেন্দ্রসমুহের উপর সিরাক-বাংলাদেশ এর একটি জরিপের সংক্ষিপ্ত তথ্য ও উপাত্ত উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয় এবং বিজয়ীরা তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন। প্রতিযোগিতার বিচারকবৃন্দ অনুচ্ছেদসমূহ সম্পর্কে তাদের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রতিযোগিতার সেরা ৩ বিজয়ী হলেন, মোঃ নাইম হোসেন খান- বরিশাল, খন্দকার নাঈমা আক্তার নুন- কুমিল্লা, আরশি ইরতিজা- চট্টগ্রাম। বাকিরা হলেন, মারিয়া আক্তার-খুলনা, মো. মাহমুদুল হাসান শিশির- রাজশাহী, ফাহিমা আক্তার রিমি- ময়মনসিংহ, মোঃ ফুয়াদ হাসান- কুষ্টিয়া, মোঃ আবু হুরায়রা- ঢাকা, অপূর্ব কৃষ্ণ রায়- রংপুর, জান্নাতুল বাকিয়া জেনি- ঢাকা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ডা. মোহাম্মদ শরীফ সিরাক-বাংলাদেশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, "কৈশোর-বান্ধব সেবাকেন্দ্রসমুহের উপর সিরাক-বাংলাদেশ এর জরিপের তথ্য ও উপাত্তসমূহ জানতে পেরে আমি খুবই উপকৃত হয়েছি। বিস্তারিত রিপোর্টটি প্রকাশিত হওয়ার পর আশা করছি আমরা তরুণদের এই দীর্ঘদিনের দাবী নিয়ে কাজ শুরু করবো।" অনুষ্ঠানের সভাপতি মোঃ আব্দুস সালাম খান তরণদেরকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যক্ত করেন। তিনি আরও বলেন, "তরুণরা যদি এভাবে বিভিন্ন আকর্ষণীয় কার্যক্রমের মাধ্যমে তাদের দাবী উপস্থাপন করে, তাহলে তা আমাদের জন্যও বাস্তবায়ন করাও সম্ভব। এজন্য আমি সিরাক-বাংলাদেশ কে অনুরোধ করবো, তারা যেন আরও অধিক সংখ্যক এ ধরনের ব্যতিক্রমধর্মী ও সময়োপযোগী কার্যক্রম পরিচালনা করেন।" এছাড়াও তিনি কৈশোর-বান্ধব সেবাকেন্দ্রের সময় বর্ধিত করার লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। উলেখ্য, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে সারাদেশে ১১০৩টি কৈশোর-বান্ধব সেবাকেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে।
সমাপনী বক্তব্যে সিরাক-বাংলাদেশ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম সৈকত বলেন, "আজকের এই অনুষ্ঠান শুধুমাত্র সিরাক-বাংলাদেশ কেন্দ্রিক তরুণদেরকে নিয়ে নয়, এর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের তরুণদের দাবী উপস্থাপিত হয়েছে।" তাছাড়া তিনি কৈশোর-বান্ধব সেবাকেন্দ্রের উন্নয়নে বিভিন্ন সময়ে প্রতিশ্রুতি ও আশাবাদ ব্যক্ত করার জন্য অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও সভাপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইসাথে তিনি বিচারকমণ্ডলীকে এই আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিরাক-বাংলাদেশ এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর শাহীনা ইয়াসমিন, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার তাসনিয়া আহমেদ, অ্যাাসোসিয়েট প্রোগ্রাম অফিসার নাহিদুর রহমান এবং সারা বাংলাদেশের প্রায় অর্ধ শতাধিক তরুণ ও কিশোর-কিশোরী।