বুধবার (০৭ এপ্রিল) ই-কমার্স দিবস উপলক্ষ্যে ‘ই-কমার্স ফর লিভিং’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ই-কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এবারের ই-কমার্স দিবসের প্রতিপাদ্য ‘ঘরে থাকাই নিরাপদ, ই-কমার্সই ভবিষ্যৎ’।
মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘ই-ক্যাব আজ অপরিহার্য প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে। ই-ক্যাব হয়েছে ১৫০০ সদস্যের পরিবার। এত অল্প সময়ে ই-কমার্সের এই ব্যাপ্তি ও ই-ক্যাবের এই অগ্রগতি শুধু করোনার কারণে হয়নি। করোনার মতো পরিস্থিতিতে সরকারের নানা পদক্ষেপ ও ই-ক্যাবের যারা নেতৃত্বে রয়েছে তাদের ক্রমাগত প্রচেষ্টার ফসল।’
আলোচনায় আরও অংশ নেন- তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক, ই-ক্যাবের উপদেষ্ঠা নাহিম রাজ্জাক এমপি, বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন, আমদানি ও রফতানি অনু-বিভাগের প্রধান এএইচএম শফিকুজ্জামান, ডিজিটাল কমার্স সেল এর প্রধান হাফিজুর রহমান, মো. ওবায়দুল আজম, ডিরেক্টর এন্ড চিফ এক্সেকিউটিভ অফিসার, বিএফটিআই।
আলোচনায় অংশ নিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক বলেন, ‘বাংলাদেশের ই-কমার্স এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়েছে প্রবৃদ্ধির একটা উদাহরণ হিসেবে। এটা সম্ভব হয়েছে ই-ক্যাবের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং এই সেক্টরের কর্মীদের একনিষ্ঠ পরিশ্রমের কারণে। ই-ক্যাব একটি নবীন সংগঠন হয়েও তাদের কর্মতৎপরতা এবং আপদকালীন সময়ে সেবা দিয়ে সক্ষমতা ও দক্ষতার পরিচয়ে দিয়ে আইসিটি সেক্টরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পৃথিবীর যে তিনটি দেশ করোনাকালীণ সময়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তারমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এতে ই-ক্যাব সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।’
সভাপতির বক্তব্যে ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন স্বপ্ন আজ সফল হয়েছে। মুজিব বর্ষ এবং স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষে এসে আমরা তার সুফল ভোগ করছি। বিগত সময়ে ই-ক্যাব সেযব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সবসময় আমরা সরকারের সহযোগিতা পেয়েছি এবং পাচ্ছি। করোনার ঢেউ যখন দ্বিতীয়বার এসেছে তখন সরকার প্রথমে চলাচল সীমিত ঘোষণা করে ৬টা পর্যন্ত। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এবং সরাসরি গিয়ে বর্তমানে এই সময়টা রাত ১২টা পর্যন্ত বাড়িয়েছি। এভাবে আমরা মানুষকে সেবা দিতে অনলাইন উদ্যোক্তাদের নিয়ে সবার পাশে থাকবো।’