অবশ্য টেকজায়ান্ট আলিবাবার জন্য এই অর্থের পরিমাণ বেশ ছোটই। ২০১৯ সালে তারা যে পরিমাণ মুনাফা লাভ করেছিল, এই জরিমানা তার তুলনায় চার শতাংশ মাত্র।
গত অক্টোবরে চীনের নীতিনির্ধারর্ণী ব্যবস্থার কড়া সমালোচনা করেছিলেন আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা ও ধনকুবের জ্যাক মা। এরপর থেকেই চীন সরকারের তোপের মুখে পড়ে তার প্রতিষ্ঠানটি।
গত ডিসেম্বরে চীনের বাজার নিয়ন্ত্রণ প্রশাসন (এসএএমআর) আলিবাবার বিরুদ্ধে নীতিভঙ্গের অভিযোগে তদন্ত শুরু করে। এর আগে স্থগিত করা হয় আলিবাবার সহযোগী প্রতিষ্ঠান অ্যান্ট গ্রুপের ৩৭ বিলিয়ন ডলারের আইপিও পরিকল্পনা।
শনিবার এসএএমআর জানিয়েছে, আলিবাবা তার ব্যবসায়ীদের অন্য ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার বন্ধ করে দিয়ে ২০১৫ সাল থেকে ‘একচেটিয়া বাজার আধিপত্য’ কায়েম করেছে বলে তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে তারা।
চীনা প্রশাসনের দাবি, আলিবাবার এধরনের কর্মকাণ্ড পণ্যের অবাধ চলাচল বাধাগ্রস্ত করে এবং ব্যবসায়িক স্বার্থের ক্ষতি করার মাধ্যমে চীনের একচেটিয়া বাজার-বিরোধী আইন লঙ্ঘন করছে।
একারণে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটিকে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা জোরদার এবং ভোক্তাদের অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে ‘পুরোপুরি সংশোধন’ আনার নির্দেশ দিয়েছে এসএএমআর।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে আলিবাবা জানিয়েছে, তারা এই জরিমানার বিষয়টি গ্রহণ করছে এবং চীনা প্রশাসনের নীতি পুরোপুরি কার্যকর করবে।