রোববার (১১ এপ্রিল) রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই গৃহীত বিশেষ কার্যক্রম এবং চিনির বাজার স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) চিনি বিক্রয় কার্যক্রম সম্পর্কে ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে শিল্পমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শিল্পসচিব কে এম আলী আজমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি।
অন্যদের মধ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) লুৎফুন নাহার বেগম ও মোহাং সেলিম উদ্দিন (অ:দা: মান নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবসা সহায়তা), বিএসটিআই'র মহাপরিচালক ড. মো. নজরুল আনোয়ার ও বিএসএফআইসি চেয়ারম্যান মো. আরিফুর রহমান অপুসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর/সংস্থার প্রধানগণ ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, পবিত্র রমজান মাসে জনগণ যেন মানসম্মত পণ্য কিনতে ও ব্যবহার করতে পারে, সে লক্ষ্যে বিভিন্ন মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ/প্রচার করা হচ্ছে এবং এটি অব্যাহত থাকবে। করোনা মহামারির এই লকডাউনের সময় পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ স্বাবাভিক থাকবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিএসটিআই'এর হঠাৎ পরিচালিত অভিযানগুলোতে বিশেষ করে রোজাদাররা সচরাচর যে সব খাবার ও পানীয় গ্রহণ করেন সেগুলো এবং ইফতার সামগ্রীর ওপর বিশেষ নজর রাখা হবে। আসন্ন রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কোনো অভাব হবে না। চিনি ও লবণের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এক্ষেত্রে তিনি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি আরও বলেন, বিএসএফআইসি'র প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ৬৮ টাকা এবং মিল এলাকায় খোলা চিনি কেজি প্রতি ৬৩ টাকা দরে বিক্রি হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিম্নমানের ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য সরবরাহ রোধে বিএসটিআই সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবে। আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে ভোক্তাদের মাঝে মানসম্মত পণ্য ন্যায্য মূল্যে বিক্রির আহবান জানান তিনি। সিন্ডিকেটের মাধ্যমের পণ্যের কৃত্রিম সংকট যেন সৃষ্টি না করতে পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী করোনার এই মহামারিতে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।