রোববার দুপুরে রবির জানুয়ারি থেকে মার্চের ত্রৈমাসিক ব্যবসায়ীক পারফামেন্স (কিউ-১) তুলে ধরার জন্য আয়োজিত ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। ব্রিফিংয়ে কোম্পানিটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, সেকেন্ডারি প্রাইজ কি কারণে ওঠা-নামা করে তা আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয় বা উচিতও নয়। করোনায় রবি ভালো করেছে। গতবছর আমরা অনেক বেশি স্ট্রাগল করেছি এবং বিস্তর অভিজ্ঞতা হয়েছে। এরপর আমরা এবার ভালো করছি। গতবারের মতো হবেনা এবার। সাধারণ জনগণের বিষয়ে সরকার একটু সহনীয় হলে আমরা খুব সহজেই এই মহামারির বাধা কাটিয়ে উঠতে পারবো। এখনো প্রায় ৪০ শতাংশ লোক মোবাইল ব্যবহার করে না। তাদের সেবার আওতায় আনার জন্য সরকারের কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিতে হবে। যতো লাভ হোক না কেনো আমার ২ শতাংশ ট্যাক্স যে দিতে হবে সে জায়গায় আমি ফেয়ারনেস চাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে শুরুতেই রবির চিফ কর্পোরেট ও নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মো. শাহিদ আলম বলেন, আমাদের করোনাকালীন সময়ে ডিজিটাল সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে নানান ধরনের চালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। আমরা মহামারির সময়ে ঘরে বসে অফিস করা শিখছি। যারা কখনো অনলাইনে বাজার করেননি তারাও এ সময়টাতে অনলাইন কেনাকাটা করছে।
এরপর রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন আহমেদ স্লাইডের মাধ্যমে কোম্পানিটির ত্রৈমাসিক ব্যবসায়ীক পারফামেন্সের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের সেবা পুরো দেশের ৬৪ জেলায় ভালোভাবে ছড়িয়ে দিতে পেরেছি। আমরা সব জায়গায় আমাদের ফোর-জি সেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। করোনায় অনেকে ঘরে বসে কাজ করতে পারলেও অনেকে ঘরে বসে থাকতে পারছে না। রবি সব সময় তার সাবস্কাইবারদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা আমাদের সমাজের জন্য অনেক ধরনের সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করছি। আমরা রবি ১০ মিনিট স্কুলের মতো অনেক বিষয়ে সফল হয়েছি।
রবির প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা এম রিয়াজ রাশেদ বলেন, আমরা আমাদের ডাটা অনেক শক্তিশালী করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা অল্প দামে ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আগের চেয়ে আমরা অনেক ক্ষেত্রে সফল। সামনে আরো ভালো করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।