বোরহানউদ্দিন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি বছর উপজেলায় ১৩০ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৩৪০ হেক্টর। এবছর হেক্টর প্রতি তরমুজ উৎপাদন হয়েছে ৫৫ মেট্রিক টন। সেই হিসেবে মোট উৎপাদন হবে ১৮ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন। বর্তমানে প্রতি মেট্রিক টন ৩০ হাজার টাকা দরে এবছর উপজেলায় প্রায় ৫৬ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে তারা আশা করছেন।
উপজেলার মাঝের চরের এক কৃষক জানান, চলতি বছর তার ২৫ একর জমিতে তরমুজ আবাদ করতে খরচ হয়েছে ১২ লাখ টাকা। তিনি আশা করছেন এ বছর ৩৫ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারবেন। ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চর কালেঙ্গার কৃষক ইউসুফ মাঝি জানান, তিনি ১ একর জমি থেকে ইতিমধ্যেই ৬৫ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। আরও প্রায় ১ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রির কথা চলছে। আরেক কৃষক করিম মাঝি জানান, ২ একর জমি থেকে এবার ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, বিগত বছরগুলোতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তরমুজ চাষে কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। সে জন্য এবার চাষ কম হয়েছে। কিন্তু এবার খুব ভালো ফলন ও কাঙ্ক্ষিত দাম পাওয়ায় আগামী বছরগুলোতে কৃষকরা আরও বেশি জমিতে তরমুজ চাষ করবে।