১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলাচলে কঠোর বিধিনিষিধ দেওয়া পর সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে জরুরি বৈঠকে বসেছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়। সেখান থেকে তারাবি নামাজ আদায়ে মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব রক্ষাসহ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হবে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা জানান, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মঙ্গলবার চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠকের আগে জারি করা হবে। অন্য একটি সূত্র বলছে, সোমবার (১২ এপ্রিল) নির্দেশনাগুলো জারি করা হবে। এসব নির্দেশনা মানার ক্ষেত্রে এবার মসজিদ কমিটি, ইমাম, খতিবদের বেশি দায়িত্ব দেওয়া হবে। এছড়াও মুসল্লিদের জন্য আলাদা আলাদা নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নুরুল ইসলাম এ সংক্রান্ত একটি বৈঠকে আছে বলে জানান। বৈঠকে সিদ্ধান্ত এক-দুদিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে গত ৫ এপ্রিল আসন্ন রমজান মাসের তারাবির নামাজ, সেহরি ও ইফতার আদায়ের ১০টি নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনায়ভাইরাসের কারণে সারাদেশে আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় দেশের মসজিদগুলোতে জামাতে নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে ১০টি নিদের্শনা পালন করতে হবে।
নির্দেশনাগুলো হলো-
১. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।
২. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু ও সুন্নাত নামাজ আদায় করে মসজিদে আসতে হবে এবং ওযু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৩. মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিদের নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
৪. কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
৫. শিশু, বয়বৃদ্ধ, যেকোনো অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিকে জামাতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকবে হবে।
৬. সংক্রমণ রোধে নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওযুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।
৭. সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৮. মসজিদে ইফতার ও সেহরির আয়োজন করা যাবে না।
৯. করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খতিব ও ইমামরা দোয়া করবেন।
১০. মসিজদের খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।