এতে বলা হয়, ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু থাকার কারণে বিএসইসি বিনিয়োগকারীদের আস্থা রক্ষার স্বার্থে লেনদেন ও নগদ অর্থ উত্তোলনের জন্য ব্যাংক ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ১৫ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া বাকি দিনগুলোতে কমিশনের অফিস সময়সূচী হবে সকাল সাড়ে ৯টা হতে বেলা ২টা পর্যন্ত। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠান তাদের নিজ নিজ সময়সূচি সমন্বয় করবে।
এতে আরো বলা হয়, অফিস চলাকালীন সময়ে ৫০ শতাংশ কর্মচারী অফিসে উপস্থিত থাকবে। কমিশনের নিজস্ব পরিবহণ ব্যবস্থাপনায় কর্মচারীদের অফিসে আনা-নেওয়া করা হবে। এছাড়া কমিশনের চিকিৎসক সকলকে টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করবেন। স্ব স্ব বিভাগীয় প্রধানগণ তার বিভাগের কর্মচারীদের উপস্থিতির তালিকা নির্ধারণ করবেন।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ব্যাংক খোলা রাখার ঘোষণায় এতে পুঁজিবাজারও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সে সময় বলেন, ব্যাংক ছাড়া পুঁজিবাজারের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই আমরা চাইলেও ব্যাংক ছাড়া আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারতাম না। এখন যেহেতু ব্যাংক খোলার সিদ্ধান্ত এলো আমাদের পুঁজিবাজারের কার্যক্রমও চলবে।
এদিকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় ১৪ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত দৈনিক ব্যাংকিং সময়সূচী সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত নির্ধারণ করার প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে৷ যথারীতি প্রি-ওপেনিং সেশন বন্ধ থাকবে৷ তবে ১৫ মিনিট (১২টা ৩০ মিনিটি – ১২টা ৪৫ মিনিট) পোষ্ট কোজিং সেশন চালু থাকবে৷
প্রসঙ্গত, ব্যাংক বন্ধের সিদ্ধান্তের পর একসপ্তাহের জন্য পুঁজিবাজারও বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিলো নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। কিন্তু এরপর মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের মঙ্গলবারের (১৩ এপ্রিল) চিঠির পর ব্যাংকের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে মত বদলায় বিএসইসিও।
করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে বুধবার থেকে দেশে এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে সরকার।