জানা গেছে, গত বছর ৩৬ লাখ ২৫ হাজার ২৬৮ জনকে সহায়তা দেয়া হয়। এবারও ঈদুল ফিতরের আগে এসব পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) বিকাশ, রকেট, নগদ ও শিওরক্যাশের মাধ্যমে ঈদের আগেই উপকারভোগীদের কাছে টাকা পাঠানো হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলমান লকডাউনে আরও অনেক দরিদ্র পরিবার হয়তো নতুন করে সংকটে পড়বে। কিন্তু এ তালিকায় অনেক দরিদ্র ও কর্মহীন নেই। এ ধরনের পরিবারের তালিকা করে প্রতিটি জেলা প্রশাসনের অনুকূলে বাজেটে থোক বরাদ্দ থেকে তাদের সহায়তা করতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই থোক বরাদ্দ থেকে নতুন করে তালিকাভুক্ত দরিদ্রদের সহায়তা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত বছরের সাধারণ ছুটিতে ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। পরে সহায়তা পাওয়ার উপযুক্ত নয় বিবেচনায় প্রায় ১৪ লাখ পরিবারকে সহায়তা করা হয়নি। পাশাপাশি পিন কার্যকর না থাকায় চার লাখ ২ হাজার ১৩৬ পরিবার উপহারের টাকা তুলতে পারেনি।