আবদুল কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘ওয়ান-ইলেভেনের পর আমরা ছিলাম নেত্রীর পাশে, আপনারা কোথায় ছিলেন? আপনাদের কপাল ভালো মন্ত্রী হয়েছেন। তাই বলে কি আমরা বিচার পাব না?
শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘গতকাল বাদল (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল) আপনাকে নিয়ে গালিগালাজ করেছেন। আপনার বিরুদ্ধে খারাপ খারাপ কথা বলেছেন।’
‘গতকালকেও বলেছেন, আপনি রাজাকারের সন্তান। এরপরও কি আপনার শরম হয় না? আসলে আপনার শরম নাই। শরম থাকলে আপনি প্রতিকার করতেন।’ বলেন তিনি।
আব্দুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি রমজান মাসে লাইভ থেকে বিরত থাকার অঙ্গীকার করেছিলাম কিন্তু বারবার আমার উপর হামলা হলেও আমি কোনো প্রতিকার পাইনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রথমেই একটা অভিযোগ করেছিলাম। কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বলেছি এরা আমাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র করেছে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুলিপি দিয়েছে। আইজিসহ বিভিন্ন জায়গায় অনুলিপি জমা দিয়েছি।’
‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথাও হয়েছে। তিনি বলেছেন, “আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে দিচ্ছি, তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।” আমি আশ্বস্ত হলাম কিন্তু ৩ মাস চলে গেলেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।’ বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবদুল কাদের মির্জার ফেসবুক আইডি থেকে ‘শুক্রবার জুমার নামাজের সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিলে দেশে দুর্নীতিবাজের সংখ্যা কমে যাবে’ একটি পোস্ট দেওয়া হয়।
এর জেরে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ২০-২৫ জন সমর্থক কাদের মির্জার বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে একটি মিছিল বের করেন।
মিছিলটি বসুরহাট পৌরসভায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের বাধায় তারা চলে যায়। এরপর বিকেল সোয়া ৪টায় মেয়র মির্জার ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে অনুসারীরা থানার সামনে গেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হন।