বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এই জব পোর্টাল চালু করায় হাইকমিশন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে এমন বক্তব্যের জবাবে হাই কমিশনার এ মন্তব্য করেন।
দেশটির জনপ্রিয় অনলাইন দ্যা স্টারের বরাত দিয়ে হাই কমিশনার এ বিবৃতি প্রদান করেন।
হাইকমিশনার বলেন, রিক্যালিব্রেশন নামে এ প্রক্রিয়া সফল করতে ইমিগ্রেশন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয় হাইকমিশনের। যেখানে চলমান বৈধকরণ প্রক্রিয়াকে সফল করতে সহযোগিতাও চাওয়া হয় দেশটির পক্ষে। এ কারনেই জব পোর্টালটি চালু করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ার।
তিনি বলেন, অনেক মালয়েশিয়ান কোম্পানি’র মালিক রিক্যালিব্রেশন প্রক্রিয়ায় বৈধতার জন্য কাগজপত্রবিহীন বাংলাদেশিদের খুঁজে একত্রিত করার একটি উপযুক্ত পদ্ধতি চালুর অনুরোধ জানায় হাইকমিশনকে। এর মাধ্যমে মালিক-শ্রমিকের সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করবে। এ প্রক্রিয়ায় হাইকমিশন কোনো তৃতীয় পক্ষও রাখেনি।
পোর্টালটি বাংলাদেশ হাইকমিশন তাদের দায়িত্ববোধ থেকে মালয়েশিয়ায় বসবাস করা বাংলাদেশিদের কল্যাণে চালু করেছে বলেও জানান হাইকমিশনার। এ সময় মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে বাংলাদেশ থেকে নতুন করে শ্রমিক আনার ব্যাপারে খুব শিগগিরই একটি ফলাফল আসবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন গোলাম সারওয়ার।
‘চাকরির খোঁজ’ পোর্টালটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার শ্রম বিভাগের উপ-মহাপরিচালক মো. আসরি আবদুল্লাহ ওয়াহাব এবং বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার জব পোর্টাল চালু'র বিষয়ে হাইকমিশনের সমালোচনা করে দেশটির মানব সম্পদমন্ত্রী এম সারাভানান বলেন, বাংলাদেশ হাইকমিশন এ বিষয়ে মানব সম্পদ মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেনি। তারা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের এ কার্যক্রমে মালয়েশিয়ায় ৪ শতাধিক বৈধ এজেন্সি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।