বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা এই হিসাব দিয়েছেন। খবর মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি’র।
ইউরোপের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি এখনো বেশ ‘গুরুতর’ বলে সতর্ক করে ইউরোপে ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক হ্যানস ক্লুজ আরও জানিয়েছেন, ইউরোপে প্রতি সপ্তাহে নতুন করে ১৬ লাখ মানুষের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে।
করোনার নতুন ধরনে অঞ্চলটির বেশ কিছু দেশে রেকর্ড সংক্রমণের মধ্যে এমন তথ্য দিলেন হ্যানস ক্লুজ। ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে অবশ্যই মাস্ক পরিধান ও শারীরিক দূরত্ব ছাড়াও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের হালনাগাদ তথ্যে দেখা যাচ্ছে, প্রাদুর্ভাব শুরুর পর করোনা বিশ্বের ত্রিশ লাখের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। ভাইরাসটির প্রকোপে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা। এরপর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউরোপ।
গ্রিস সফররত ক্লুজ সাংবাদিকদের অবশ্য বলেছেন, টিকায় অগ্রাধিকার পাওয়া আশি কিংবা তারও বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে করোনায় মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়ে ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে; যা মহামারির প্রাদুর্ভাব শুরুর পর এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন।
বিশেষ করে গত জানুয়ারি থেকে যুক্তরাজ্যে করোনায় নতুন আক্রান্ত ও প্রাণহানি নাটকীয়ভাবে কমতে শুরু করে। এর নেপথ্য কারণ হিসেবে দেশটির টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য ও দীর্ঘমেয়াদে লকডাউন নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রশংসা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, করোনায় প্রাণহানি ইউরোপে শীর্ষ রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে প্রাণহানি ১ লাখ ২৭ হাজারের বেশি। এরপর যথাক্রমে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইতালি; ১ লাখ ১৬ হাজার প্রায়। মৃত্যু ১ লাখ ৩ হাজার নিয়ে তৃতীয় স্থানে রাশিয়া। গতকাল ফ্রান্সে মৃত্যু লাখ ছাড়িয়েছে।