কয়েক দিন আগেই নাতাঞ্জ কেন্দ্রে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। ইরান এর জন্য চিরশত্রু ইসরায়েলকে দায়ী করেছিল।
সরকারি টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে সালেহি বলেছেন, ‘আমরা এখন প্রতি ঘণ্টায় ৯ গ্রাম করে পাচ্ছি (এক আউন্সের প্রায় এক তৃতীয়াংশ)।
এর আগে ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার জানিয়েছিলেন, রাত ১২টা ৪০ মিনিটে তেহরানের বিজ্ঞানীরা ইউরেনিয়াম ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধে সফল হয়েছেন।
ইরান এমন সময় এই খবর প্রকাশ করলো যখন, পারমাণবিক কর্মসূচিতে লাগাম টানতে বৃহস্পতিবার ভিয়েনায় তেহরানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো।
২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে পরমাণু সমঝোতায় স্বাক্ষর করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়া। তবে ২০১৮ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি তেহরানের ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে থাকেন। অবশ্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করা অন্য দেশগুলো তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার নির্বাচনী ইশতেহারে পরমাণু সমঝোতায় ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
তেহরান অবশ্য জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার শুরু না করলে তারা পরমাণু কর্মসূচিতে ফিরে যাবে। নতুন চুক্তিতে যাওয়ার আগে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি পুরোপুরি নিশ্চিত করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে।