এতে বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাও ছাড়িয়েছে ১৪ কোটি ৫ লাখের ১১ হাজারের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩০ লাখ ১২ হাজার। ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বেড়েছে সংক্রমণ ও প্রাণহানির সংখ্যা।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২ হাজার ৫১৪ জন। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩০ লাখ ১২ হাজার ৭ জনে।
এছাড়া, একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৩০ হাজার ৫২ জন। এতে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ কোটি ৫ লাখ ১১ হাজার ৪২৫ জনে।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ২৩ লাখ ৫ হাজার ৯১২ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৯৪২ জন মারা গেছেন। লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ৩৮ লাখ ৩৪ হাজার ৩৪২ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশি দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের তালিকায় দেশটির অবস্থান চতুর্থ। দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ৪৫ লাখ ২১ হাজার ৬৮৩ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৭৩ জন।
এছাড়া এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে ৫২ লাখ ২৪ হাজার ৩২১ জন, রাশিয়ায় ৪৬ লাখ ৮৪ হাজার ১৪৮ জন, যুক্তরাজ্যে ৪৩ লাখ ৮৩ হাজার ৫৭২ জন, ইতালি ৩৮ লাখ ৪২ হাজার ৭৯ জন, তুরস্কে ৪১ লাখ ৫০ হাজার ৩৯ জন, স্পেন ৩৪ লাখ ৭ হাজার ২৮৩ জন, জার্মানি ৩১ লাখ ১৬ হাজার ৯৫০ জন এবং মেক্সিকোতে ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৯৩৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ৪০৪ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৪ হাজার ৭৯৫ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৭ হাজার ২২৫ জন, ইতালিতে এক লাখ ১৬ হাজার ৩৬৬ জন, তুরস্কে ৩৫ হাজার ৩২০ জন, স্পেনে ৭৬ হাজার ৯৮১ জন, জার্মানিতে ৮০ হাজার ৩৮৭ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ১১ হাজার ৬৯৩ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। বিশ্ব এখন করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করছে।