বিশ্লেষকেরা বলছেন, বর্তমানে সোনার দাম এই ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার মূল কারণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রভাব। যুক্তরাষ্ট্রের ১০ বছর মেয়াদি বন্ডের ইল্ড কমায় এর দাম বেড়ে গেছে, ফলে বন্ডে মানুষের আগ্রহ কমছে। সেই সঙ্গে অন্য অনেক মুদ্রার বিপরীতের ডলারের দর কমে যাওয়ায় সোনার দামে প্রভাব পড়েছে। এ ছাড়া সোনার দামে প্রচ্ছন্ন একটি প্রভাব ফেলেছে চীন।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের বৃহত্তম সোনার গ্রাহক চীন তার দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোকে প্রচুর পরিমাণে সোনা আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতি নিয়ে শঙ্কাও সোনার দাম বাড়িয়েছে। যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের খুচরা বিক্রয় বাড়লে এবং সাপ্তাহিক বেকার ভাতার দাবি কমলেও হলুদ ধাতবের দাম বেড়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতি, বন্ডের কম ইল্ড, দুর্বল ইউএস ডলার এবং মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য ও মুদ্রা সরবরাহ বাড়ানোর একটি পরিকল্পনা (কোয়ান্টেটিভ ইজিং প্রোগ্রাম) সোনার দামকে বাড়িয়েছে। পাশাপাশি কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধি ও পরবর্তী তরঙ্গের ভয় কাজ করেছে এ দাম বাড়ার পেছনে। কোভিডের বর্তমান পরিস্থিতি প্রথম প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে কিছুটা অনিশ্চয়তা দিচ্ছে। পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদে সোনার দাম আরও বাড়তে পারে।
গত বছর বিশ্ববাজারে সোনা রেকর্ড দামে পৌঁছায়। দফায় দফায় দাম বেড়ে আগস্টের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম রেকর্ড ২ হাজার ৭৪ ডলারে উঠে যায়।
এ দিকে গত ১০ মার্চ থেকে বাংলাদেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার অলংকারের দাম হয় ৬৯ হাজার ১০৯ টাকা। ২১ ক্যারেট ৬৫ হাজার ৯৬০ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৫৭ হাজার ২১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার অলংকারের ভরি বিক্রি শুরু হয় ৪৬ হাজার ৮৮৯ টাকায়। সূত্র: দ্য মিন্ট