বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, বকেয়া বেতন পরিশোধ ও পবিত্র রমজান মাসে কাজের সময়সীমা কমানোর দাবিতে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গন্ডামারায় নির্মাণাধীন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গতকাল শনিবার (১৭ এপ্রিল, ২০২১) সকালে বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিন পুলিশসহ আহত হয়েছেন আরো কমপক্ষে ৩০ জন। গুরুতর আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম মনে করে, আন্দোলনরত শ্রমিকদের উপর পুলিশের গুলিবর্ষণের বিষয়টি অনাকাঙ্খিত ও অন্যায়, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। কোভিড-১৯ সময়েও মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের অর্থনীতিকে যে শ্রমিকরা টিকিয়ে রেখেছেন সেসব শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার অধিকার লঙ্ঘন করে পুলিশ কর্তৃক এভাবে গুলি করে হত্যাও চরম নিন্দনীয়।
ফোরাম উপরোক্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানাচ্ছে। পাশাপাশি দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা, নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ, আহত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানাচ্ছে। একইসাথে শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে। শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম সারা দেশে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।
শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম স্মরণ করিয়ে দিতে চায় যে, সমবেত হওয়ার এবং ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করা যে কোন নাগরিকের সাংবিধানিক অধিকার যা অন্যান্য মানবাধিকার দলিলেও সুস্পস্টভাবে উল্লেখিত আছে। মহামারী করোনাকালীন সময়ে শ্রমিকরা নানা দুর্দশার মধ্যে রয়েছেন। অনেকে চাকরি হারিয়েছেন, অনেকের মজুরি কমে গেছে। তা সত্ত্বেও শ্রমিকদের বেতন যথাসময়ে কেন পরিশোধ করা হলো না সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার এবং তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্রমিক নিরাপত্তা ফোরাম জোর দাবি জানাচ্ছে।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি