২০৫ রানের লক্ষ্য ছোঁয়া সহজ ছিল না। এবি ডি ভিলিয়ার্স ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড়ে কলকাতাকে রান পাহাড়ে চাপা দেয় বেঙ্গালুরু। ৪ উইকেটে ২০৪ রান করার পর প্রতিপক্ষকে ৮ উইকেটে ১৬৬ রানে থামিয়ে দিয়েছে বিরাট কোহলির দল।
বোলিংয়ে ২ ওভারে ২৪ রান দেওয়ার পর সাকিব আল হাসান এদিন ব্যাট হাতে কিছুটা হলেও ঝলমলে ছিলেন। আগের দুই ম্যাচে ৩ ও ৯ রান করা বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান করেন ২৬ রান, তার ২৫ বলের ইনিংসে ছিল একটি চার ও ছয়। এউইন মরগ্যানের সঙ্গে ৪০ ও আন্দ্রে রাসেলের সঙ্গে ৪১ রানের উল্লেখযোগ্য জুটি গড়েন তিনি।
বড় লক্ষ্যে নেমে ৭৪ রানে চার উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলাতে পারেনি কলকাতা। নবম ওভারে দিনেশ কার্তিকের (২) আউটে ছয় নম্বরে ক্রিজে নামেন সাকিব। ১৫তম ওভারে কাইল জেমিসনকে দারুণ ড্রাইভে ডি ভিলিয়ার্সের মাথার ওপর দিয়ে চার মারেন। দুই ওভার পর সেই জেমিসনের বলেই ফিরে যান বোল্ড হয়ে। তিন বলের ব্যবধানে প্যাট কামিন্সকেও আউট করেন নিউ জিল্যান্ড পেসার। তাতেই কার্যত শেষ হয়ে যায় কলকাতার লড়াই।
শেষ ওভারে দরকার ছিল ৪৩ রান, প্রথম বলে হার্শাল প্যাটেল ফেরান ইনিংস সেরা পারফর্মার রাসেলকে। ২১ বলে ৩০ রান করেন উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান। কঠিন লক্ষ্যে নেমে কলকাতার হয়ে বলার মতো ইনিংস খেলেন মরগ্যান (২৯) ও রাহুল ত্রিপাঠী (২৫)।
জেমিসন সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন বেঙ্গালুরুর হয়ে। দুটি করে উইকেট পান যুজবেন্দ্র চাহাল ও হার্শাল প্যাটেল।
তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে বেঙ্গালুরু। আর ২ পয়েন্ট পাওয়া কলকাতা ষষ্ঠ স্থানে।
এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে ম্যাক্সওয়েলের ৭৮ ও ডি ভিলিয়ার্সের অপরাজিত ৭৬ রানের ঝড়ো ইনিংস বেঙ্গালুরুকে এনে দেয় বড় সংগ্রহ।