সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটন খাত একটি সম্ভাবনাময় শিল্প। বর্তমানে বাংলাদেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ট্যুর অপারেটররা অন্তর্মুখী ও বিদেশগামী ট্যুর পরিচালনা করে থাকেন। এ সব ট্যুর অপারেটরদের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দেশে প্রচলিত কোনো আইন না থাকায় অনেক সময় পর্যটকরা তাদের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে সুপরিকল্পিত ট্যুর কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডের কার্যক্রম আইনের আওতায় পরিচালনা এবং পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ‘বাংলাদেশ ট্যুর অপারেটর (নিবন্ধন ও পরিচালনা) আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
প্রস্তাবিত আইনে ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডকে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নিবন্ধন প্রাপ্তির যোগ্যতা, প্রক্রিয়া, মেয়াদ এবং নিবন্ধন সনদ বাতিলের কারণ উল্লেখ করা হয়েছে খসড়া আইনে। নিবন্ধন সনদ ছাড়া ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইড পরিচালনায় বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মৃত্যুবরণ বা শারীরিক অক্ষমতার কারণে নিবন্ধন সনদ হস্তান্তর এবং কার্যালয় স্থানান্তরের বিধান রাখা হয়েছে। পর্যটকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের অপরাধ ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করে ১৮৯৮ সালের কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর অনুযায়ী বিচারের বিধান রাখা হয়েছে আইনে।’