ফেসবুক জোর দিয়ে বলছে, দূর থেকে কাজ করতে দেওয়ার সুযোগ ব্যয় সাশ্রয়ের বিষয় নয়। তবে কোম্পানিটি এই ইঙ্গিতও দিচ্ছে, কর্মীরা কোথায় থাকবেন এবং কীভাবে কাজ করতে চান, তার ওপর নির্ভর করে তাঁরা বেতন পাবেন। এ ক্ষেত্রে বেতন কমও হতে পারে।
ফেসবুকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রায়ান হ্যারিংটন বলেন, স্থানীয় বাজারে ব্যয় কেমন, সে বিবেচনায় নিয়ে শ্রমের মজুরি নির্ধারণ করা হয়। তাই ঘরে থেকে যাঁরা কাজ করবেন, কোথা থেকে তাঁরা কাজ করছেন, তার ওপর ভিত্তি করে বেতন নির্ধারিত হবে।
সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি জায়ান্টরা গত বছর করোনার সংক্রমণের শুরুতেই দূর থেকে কাজ বিষয়ে দ্রুত সমর্থন দিয়েছিলেন। কেউ কেউ মহামারি শেষ হওয়ার পরও এটি চলতে পারে—এমন ইঙ্গিত দেন। গত মে মাসে ফেসবুকের পরিচালক মার্ক জাকারবার্গ বলেন, তাঁর সংস্থার ৫০ শতাংশ কর্মী আগামী পাঁচ থেকে দশ বছরের মধ্যে দূর থেকে কাজ করতে পারবেন। সে সময় টুইটারের সিইও জ্যাক ডোরসিও যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, লকডাউন উঠে যাওয়ার পরও তাঁরা কর্মীদের পাকাপাকিভাবে বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেবেন।
তবে কয়েক মাস যাওয়ার পরই এই ব্যবস্থার কিছু ত্রুটি খুঁজে পেয়েছেন বড় নির্বাহীরা। গত অক্টোবরে একটি সম্মেলনে মাইক্রোসফটের প্রধান নির্বাহী সত্য নাদেলা বলেন, ‘ব্যক্তিগত জীবন এবং কর্মজীবনের মধ্যে বিভাজনের অভাবকে কখনো কখনো মনে হয় আপনি কাজ করতে করতে ঘুমাচ্ছেন।’ গত মাসে গুগল ঘোষণা করে, কর্মীদের অফিসে ফিরিয়ে আনার সময়সূচি ঠিক করছে তারা। গত ফেব্রুয়ারিতে বার্কলেস ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী জেস স্ট্যালি বলেছিলেন, বাড়ি থেকে কাজ করা ‘টেকসই উপায় নয়’।