প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে সোমবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি বলেন, ভারতের অধিকাংশ মানুষ যেন প্রতিষেধক নিতে পারেন সেজন্য গত এক বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই রেকর্ড গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে কাজ। মোদি বলেন, ‘আমরা আগামী দিনে এ বিষয়ে আরও দ্রুত গতিতে কাজ করব।’
এই পদক্ষেপকে ভারতের ভ্যাকসিন প্রক্রিয়ার তৃতীয় পর্যায় বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। গত ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীদের জন্য ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর গত ১ এপ্রিল থেকে ৪৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, তৃতীয় পর্যায়ে টিকা নিতে পারবেন ১৮ উত্তীর্ণ হয়েছেন এমন যে কোনো ভারতীয়।
ভারতে টানা পাঁচদিন ধরে দুই লক্ষাধিক নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই ভেঙেছে দৈনিক সর্বোচ্চ আক্রান্ত-মৃত্যুর রেকর্ড। সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে সোমবারও।
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮১০ জন, যা গত রোববারের চেয়ে অন্তত ১২ হাজার বেশি। দেশটিতে একদিনে শনাক্ত রোগীর হিসাবেও এটি এযাবৎকালের সর্বোচ্চ।
সংক্রমণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় মারা গেছে ১ হাজার ৬১৯ জন, যা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে একদিনে সর্বোচ্চ।
ভারতে ইতোমধ্যে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দেড় কোটি ছাড়িয়েছে। এদিক থেকে বর্তমানে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে তারা। দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৭৮ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এদিকে, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। তাকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) স্থানীয় সময় বিকাল ৫টার দিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।