পুরনো নিয়ম
মাস্ক পরা অতি আবশ্যক। তবে দু’বছরের ছোট শিশুকে মাস্ক পরানো সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে বাবা-মায়েদেরই সারাক্ষণ মাস্ক পরতে হবে। শিশু বিশেষজ্ঞের মতে, ‘‘যে শিশুরা এখনও ব্রেস্টমিল্কের উপর নির্ভরশীল, তাদের মায়েদেরই সাবধানী হতে হবে। মাস্ক পরা এবং ঘন ঘন স্যানিটাইজ করা ছাড়া অন্য কোনও রাস্তা নেই।’’ তবে ৩-৫ বছরের বাচ্চাদেরও বেশিক্ষণ মাস্ক পরিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাদের মাস্ক খুলে ফেলার একটা প্রবণতা দেখা যায়। তাই বাবা-মায়েদের বাচ্চাদেরকে তাদের মতো করে বুঝিয়ে বলতে হবে, কেন মাস্ক পরা জরুরি। কেন হাত স্যানিটাইজ করা জরুরি। তবে তাদের বোঝাতে গেলে নিজেকেও উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরা দরকার। আপনাকে দেখেই আপনার সন্তান শিখবে। বাবা-মা বা বাড়ির অন্য কারও যদি সামান্য মাত্রায়ও কোনও উপসর্গ দেখা যায়, সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট করিয়ে নিন। এবং উপসর্গ দেখা গেলেই বাচ্চাকে যতটা সম্ভব তাঁর কাছ থেকে দূরে রাখুন।
সামাজিক দূরত্ব
যেহেতু বাচ্চাদের মাস্ক পরিয়ে রাখা মুশকিল, তাই সংক্রমণের মূল জায়গাটাই কম করতে হবে। অহেতুক বাইরে না বেরনোই ভাল। যতই ঘরবন্দি হয়ে হাঁপিয়ে যান, শুধু শুধু রেস্তোরায় যাওয়া, পার্কে যাওয়া বা দোকান-বাজারে যাওয়া বন্ধ করুন। যদি বেরনোর খুব প্রয়োজন হয়, তাহলে অবশ্যয়ই মাস্ক ব্যবহার করবেন। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘‘স্কুল তো বন্ধ হয়েই গেল। কিন্তু বাচ্চাদের নিয়ে অন্য কোথাও খুব একটা না বেরনোই উচিত। তাদের বাড়িতেই নানা রকম কাজে-খেলায় ভুলিয়ে ব্যস্ত রাখতে হবে।’’ ছোটখাটো কারণে বাচ্চাদের ডাক্তার দেখানোরও প্রয়োজন নেই।
পুষ্টিকর খাওয়া
কোভিড-আক্রান্ত বাচ্চাদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থা এখনও সে ভাবে চোখে পড়েনি। কিন্তু চিকিৎসকদের মতে, পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আগেই সাবধানী হয়ে যাওয়া প্রয়োজন। যেহেতু নতুন প্রজাতির ভাইরাস সম্পর্কে কেউ-ই সে ভাবে কিছু আন্দাজ করতে পারছেন না, তাই সতর্ক থাকাই কাম্য। শিশু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাচ্চাদের খাওয়া-দাওয়ার দিকে একটু মনোযোগ দিতে হবে। ‘‘পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান বাচ্চাকে। মাল্টিভিটামিন এবং জিঙ্ক সাপ্লিমেন্ট খাওয়াতে পারেন। তবে দুধ, ডিম, মাছ মাংসের মতো প্রোটিনে ভরপুর খাবার রোজকার খাবারে যেন অবশ্যই থাকে।’’