মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ/লিজ/অগ্রিমের শ্রেণীকরণের বিষয়ে ইতিপূর্বে কিছু শিথিলতা আনা হয়েছিল। এখন একই কারণে যেসব গ্রাহক সাময়িকভাবে কিস্তি পরিশোধে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন, তাঁদের বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এর ফলে গত মার্চে যাঁদের কিস্তি পরিশোধের সময় ছিল, তাঁরা আগামী জুনেও শোধ করতে পারবেন। এই বিলম্বের কারণে কোনো গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না। আবার কোনো ধরনের অতিরিক্ত মাশুল, সুদ বা কমিশন আদায় করা যাবে না।
এর আগে গত বছরে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের একই সুবিধা দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে গত ডিসেম্বরেই তার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।
এর ফলে মার্চের কিস্তি আর্থিক প্রতিষ্ঠান-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ হলে, তা বিরূপ মানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না। এই সময়ের জন্য মাশুল, সুদ বা কমিশনের নামে কোনো অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা যাবে না।
গত বছরে ব্যাংক–বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের গ্রাহকেরা স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণের কিস্তি শোধ না করলেও খেলাপি হননি। তখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কোনো গ্রাহক কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে আগামী জানুয়ারি থেকে ওই কিস্তির পরিমাণ ও সংখ্যা পুনরায় নির্ধারণ করতে পারবে আর্থিক প্রতিষ্ঠান। অর্থাৎ যাঁরা চলতি বছরে ঋণ শোধ করবেন না, তাঁদের আগামী বছর থেকে কিস্তির সংখ্যা ও পরিমাণ নির্ধারণ করা যাবে। যতসংখ্যক কিস্তি বকেয়া থাকবে, ঠিক ততসংখ্যক বাড়ানো যাবে। ঋণের ওপর সুদ হিসাবের ক্ষেত্রে কোনো দণ্ডসুদ বা অতিরিক্ত কোনো অর্থ আদায় করা যাবে না।
বর্তমানে দেশে ৩৪টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে কমপক্ষে ১০টি প্রতিষ্ঠানই দুর্বল অবস্থায় রয়েছে।