তিনি বলেন, যে মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে একসময় বঙ্গবন্ধু অবহেলিত, যে শিল্পখাতের উন্নয়নে বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, সেই শিল্প মন্ত্রণালয়ের সকলকে শিল্পসমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭মার্চ) শিল্প মন্ত্রণালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির উদ্বোধনকালে শিল্প প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন। এ সময় শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছিন্ন। বঙ্গবন্ধু ছাড়া বাংলাদেশের অস্তিত্ব কল্পনাও করা যায় না। তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে লাভজনক ও সামগ্রিক শিল্পখাতকে শক্তিশালী করা হলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে।
জাতির পিতা অতিসাধারণ জীবনযাপন করতেন উল্লেখ করে কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ যাতে বিশ্বের দরবারে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারে, সেজন্য অতি অল্প সময়ের মধ্যেই উন্নয়নের সকল রূপরেখা ও পরিকল্পনা তৈরি করে গিয়েছিলেন। জাতির পিতার এ সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন।
তিনি বলেন, জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সমাজ থেকে বৈষম্য দূর করার পূর্বেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়।
বঙ্গবন্ধু একজন খাঁটি মুসলমান ছিলেন উল্লেখ করে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার পূর্বপুরুষরা ধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে এ অঞ্চলে এসেছিলেন।
অনুষ্ঠানে শিল্পসচিব বলেন, দেশের সঠিক ইতিহাস জানা প্রত্যেক নাগরিকের অপরিহার্য দায়িত্ব। দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধুর অসামান্য ত্যাগ ও অবদানের প্রতি জাতি চিরকাল কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেশব্যাপী শিল্পায়নকে শক্তিশালী করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রত্যেককে আরও আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
এর আগে শিল্প প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রাঙ্গণে স্থাপিত নবনির্মিত ম্যুরালে মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দফতর, সংস্থাসমূহের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। পরে শিল্প প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ে স্থাপিত ‘মুজিবকর্নার’ পরিদর্শন করেন।