এতে বিশ্ব অর্থনীতির মন্দা বাস্তবে রুপ নিতে শুরু করেছে বলে সতর্ক করেছেন অর্থনীতিবিদরা।
সোমবার চীন অর্থনৈতিক দুরবস্থার যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে বিশ্লেষকদের ধারণার চেয়েও বাজে চিত্র ফুটে উঠেছে। ১৯৮৯ সালে জিডিপির প্রান্তিক তথ্য প্রকাশ শুরুর পর প্রথম ধসের মধ্যে পড়ল বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি।
জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের আঘাতে জর্জরিত দেশটির শিগগরিই পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
এখন এই মহামারী নিয়ন্ত্রণে ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলি যখন কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে, উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এশিয়া, আর্থিক বাজারগুলিতে নেমেছে ধস, তখন বেশি সংখ্যায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ধসের সূচনা হচ্ছে।
ফেডারেল রিজার্ভ বোর্ডের গবেষণা ও পরিসংখ্যান বিভাগের সাবেক প্রধান ডেভিড উইলকক্স সিএনএন জানান, ১০ দিন আগেও বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার দিকে মোড় নিচ্ছে কিনা তা নিয়ে বাস্তব অনিশ্চয়তা ছিল, কিন্তু এখন এটি নিয়ে আর কোনও প্রশ্ন নেই।
এ বছরের প্রথম দুই মাসে কর্মকাণ্ডে স্থবিরতার কারণে চীনা অর্থনীতির প্রতিটি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারিতে চীনের খুচরা বিক্রি আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। অথচ ব্লুমবার্গের জরিপে ৪ শতাংশ হারে কমার এবং রয়টার্সের জরিপে উল্টো দশমিক ৮ শতাংশ বাড়ার পূর্বাভাস দিয়েছিলেন বিশ্লেষকরা।
পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের আনাবাসী জ্যেষ্ঠ ফেলো উইলকক্স জানান, ইদানিং যে বিষয়টি সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হয়ে দেখা দিয়েছে তা হলো- আর্থিক বাজারের চলমান প্রতিকূল পরিস্থিতির পরিবর্ধক হয়ে উঠার উচ্চ ঝুঁকি দেখা যাচ্ছে।
স্বল্পমেয়াদী ঋণ বাজারের উপর বর্তমান চাপকে প্রধান উদ্বেগের বিষয় হিসেবে তুলে ধরে তিনি বলেন, হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি এড়িয়ে এই বাজারগুলির কার্যক্রম অব্যাহত রাখা জরুরি।
সোমবার চলমান সহযোগিতার সঙ্গে আর্থিক বাজারে আরও ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে নিউ ইয়র্ক ফেড। আর্থিক বাজারের বিপর্যয় যে পরে বিস্তৃত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে তা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কতটা উদ্বিগ্ন তার নিদর্শন এটা।