বুধবার (২১ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং কার্যক্রমের নিমিত্তে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়সহ কিছু শাখা চালু রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা প্রদান করেন এবং কর্তব্যরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ৩ ক্যাটাগরিতে ৫০ লাখ, ৩৭.৫০ লাখ ও ২৫ লাখ টাকার আর্থিক সুরক্ষা বাবদ অতিরিক্ত সুবিধা নিশ্চিত করেছেন। যা সত্যিই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। সেই সঙ্গে আমদানি ও রফতানির জন্য ব্যাংকের পাশাপাশি নন লাইফ এবং বিভিন্ন দাবি সম্পাদনের জন্য ও গুরুত্বপূর্ণ সেবা দেওয়ার জন্য লাইফ বীমা অফিস এর কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ শাখা সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখবার নির্দেশনা দিয়েছে আইডিআরএ।
এতে বলা হয়, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্যাংক ও বীমা এই দুইটি প্রতিষ্ঠান এক যোগে কাজ করে আসছে। একই মন্ত্রণালয়ের এক বিভাগকে এই আর্থিক সুরক্ষা (বীমা সুবিধা) ঘোষণা করলেও বীমা বিভাগে আইডিআরএসহ সকল বীমা প্রতিষ্ঠান ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বীমা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সকল পর্যায়ের (অফিসিয়াল ও উন্নয়ন বিভাগে) কর্মরত কাউকেই বীমা সুবিধা ঘোষণার আদেশ দেওয়া হয়নি। যা অমানবিক।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের উন্নয়নে এই দুইটি প্রতিষ্ঠানের (ব্যাংক ও বীমা) গুরুত্ব অপরিসীম এবং এই দুই প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। বিধায় বাংলাদেশ ব্যাংকের ন্যায় বীমা প্রতিষ্ঠানের একমাত্র অভিভাবক বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ ব্যাংক তার অধীনস্থ সকল তফসিল ব্যাংকে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য যদি বীমা সুবিধা দিতে পারে। তবে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ হতে বীমা সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে কোনও দিক নির্দেশনা না থাকায় দেশের সকল বীমা পেশাজীবীদের পক্ষে হতাশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (বিআইডিএস) এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট মাহমুদুল ইসলাম।