সংস্থাটি জানিয়েছে, করোনা মহামারি শুরুর পর হওয়া আর্থিক ক্ষতি কাটিতে উঠতে রীতিমতো সংগ্রাম করছে আকাশপথে যাত্রী পরিবহনের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো।
গত বছরের মতো এবারও অর্থাৎ করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বিশ্বের অনেক দেশেই বিমান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া দেশ ভেদে বিধিনিষেধের পার্থক্যের কারণে আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চলাচলও নির্বিঘ্ন নয়। এই পরিস্থিতিতে ফের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিশ্বের প্রায় সকল এয়ারলাইন্স।
তবে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর আকাশপথে যাত্রী কিছুটা বাড়তে পারে। বুধবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে আইএটিএ জানিয়েছে, চলতি বছর আকাশপথে যাত্রী পরিবহন কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে মহামারির আগের সময়ের তুলনায় ৪৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
এর আগে ২০২১ সাল নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে করা পূর্বাভাসে আকাশপথে যাত্রী পরিবহন করা কোম্পানিগুলোর ক্ষতির পরিমাণ ৩ হাজার ৮০০ কোটি ডলার হতে পারে বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে হালনাগাদ রিপোর্টে সেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ গিয়ে ঠেকেছে প্রায় ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘গত ডিসেম্বরে আমরা যেটা ধারণা করেছিলাম, তার তুলনায় চলতি বছর এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলোর আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। করোনার বিভিন্ন ধরন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা এবং বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ধীরগতির টিকাদান কর্মসূচিই মূলত এটার কারণ।’
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর লকডাউন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ ও বিভিন্ন দেশের সীমান্ত বন্ধের কারণে গত বছর আকাশপথে যাত্রী পরিবহনের সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ১২ হাজার ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিল।