জানা গেছে, গত দুই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ডিএসইর পর্ষদ সভায় ট্রেক ইস্যুর লক্ষ্যে আবেদন গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। প্রথম দফায় আবেদনের সময় নির্ধারণ করা হয় ১৮ মার্চ। পরবর্তীতে তা আরও ১০ দিন বাড়িয়ে ২৮ মার্চ নির্ধারণ করা হয়। এ সময়ের মধ্যে মোট ৬৬টি প্রতিষ্ঠান ট্রেকের জন্য আবেদন করে।
আবেদন করা ৬৬টি প্রতিষ্ঠান হলো: কবির সিকিউরিটিজ, আমার সিকিউরিটিজ, মোনার্ক হোল্ডিংস, সোহেল সিকিউরিটিজ, বেঙ্গ জিন জিউ টেক্সটাইল, আরএকে ক্যাপিটাল, ওয়িংস ফাইন, মিনহার সিকিউরিটিজ, বিপ্লব হোল্ডিং, যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, অ্যাসোসিয়েট ক্যাপিটাল সিকিউরিটিজ, স্নিকদা ইক্যুইটিস, বিরিচ, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ, অ্যাসুরেন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, সাউথ এশিয়া সিকিউরিটজ, ট্রিস্টার সিকিউরিটজ, ৩আই সিকিউরিটজ, ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ, ফারইস্ট শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, কলম্বিয়া শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, সোনালী সিকিউরিটজ, টি.এ মার্চেন্টডাইজিং, রাহমান ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট, ফারিহা নিট টেক্সটাইল, কেডিএস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, আল হারমাইন সিকিউরিটজ, মির সিকিউরিটজ, ট্রাস্ট রিজোনাল ইক্যুইটি, এনসি সিকিউরিটজ, ইসলামিক ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট, টি.কে. শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, এমকেএম সিকিউরিটজ, এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, জাপান সোলারটেক (বাংলাদেশ), এন ওয়াই ট্রেডিং, এসবিএসি ব্যাংক সিকিউরিটজ, আমায়া সিকিউরিটজ, পটেনশিয়াল ক্যাপিটাল, তাকাফুল ইসলামি সিকিউরিটজ, এইচএসবি সিকিউরিটজ, স্মার্ট শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটজ, ইনোভা সিকিউরিটজ, বিএনবি সিকিউরিটজ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স সিকিউরিটজ, মাহিদ সিকিউরিটজ, গিবসন সিকিউরিটজ, সিভিসি সিকিউরিটজ, বি অ্যান্ড বিএসএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, বেসিক ব্যাংক সিকিউরিটিজ, বারাকা সিকিউরিটজ, বিনিময় সিকিউরিটজ, রিলিফ এক্সচেঞ্জ, এএনসি সিকিউরিটজ, এসএফআইএল সিকিউরিটজ, তাসিয়া সিকিউরিটজ, ডেনিস্টি সিকিউরিটজ, এসকিউ ক্যাবল অ্যান্ড ওয়্যার, ইম্পিরোর সিকিউরিটজ অ্যান্ড ওয়েলথ ম্যানেজমেন্ট, মিরপুর সিকিউরিটজ, ক্লিসটাল সিকিউরিটজ, ট্রেড এক্স সিকিউরিটজ, ম্যাটরিক্স সিকিউরিটজ, এসএমই ইনফরমেটিকস, বাংলাদেশ এসএমই করপোরেশন এবং ডিপি৭ লিমিটেড।
বাতিল হওয়া ১৫টি আবেদন হলো: ট্রেকের জন্য আবেদন করা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৫টি আবেদন বিভিন্ন কারণে বাতিল হয়েছে। এগুলো হলো-অ্যাসুরেন্স সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, ব্রিজ স্টক অ্যান্ড ব্রোকারেজ, টি.এ মার্চেন্টডাইজিং, ফারিহা নিট টেক্সটাইল, ইসলামিক ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট, জাপান সোলারটেক (বাংলাদেশ), এন ওয়াই ট্রেডিং, গিবসন সিকিউরিটজ, সিভিসি সিকিউরিটজ, বি অ্যান্ড বিএসএস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল, বেসিক ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এসকিউ ক্যাবল অ্যান্ড ওয়্যার, ম্যাটরিক্স সিকিউরিটজ, এসএমই ইনফরমেটিকস এবং বাংলাদেশ এসএমই করপোরেশন লিমিটেড।
ট্রেক হলো পুঁজিবাজারে লেনদেনের মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে বিনিয়োগকারীরা শেয়ারের লেনদেন করবেন। এ হিসেবে ট্রেক অনেকটাই ব্রোকার হাউজের মতো। তবে ট্রেকের মালিকরা ব্রোকারেজ হাউজের মতো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ার পাবে না।
গত বছরের ২৪ মার্চ ‘ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বিধিমালা ২০২০’ খসড়া করে তা জনমত যাচাইয়ের জন্য মতামত চায় বিএসইসি। এ খসড়া চূড়ান্ত করতে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে মতামত চাওয়া হয়। পরবর্তীতে ১২ নভেম্বর ট্রেক বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করা হয়।
এ বিধিমালা অনুযায়ী, এক্সচেঞ্জের প্রত্যেক প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডার ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইনের আওতায় একটি করে ট্রেক (ব্রোকারেজ হাউজ) পাওয়ার অধিকার রাখেন।
প্রাথমিক শেয়ারহোল্ডারদের বাইরে ট্রেক পাওয়ার যোগ্যতার শর্তে রাখা হয়েছে- কোম্পানি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা বা কমিশন থেকে অনুমোদন সেসব প্রতিষ্ঠান যাদের পরিশোধিত মূলধন কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা তারা ট্রেক পাওয়ার যোগ্য হবেন।
তবে দেশি-বিদেশি শেয়ারহোল্ডারের যৌথ উদ্যোগে গঠিত কোনো কোম্পানি আবেদন করলে তার ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ৮ কোটি টাকা হতে হবে। আর সম্পূর্ণ বিদেশি শেয়ারহোল্ডারের মালিকানাধীন কোনো কোম্পানি আবেদন করলে তার ন্যূনতম পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি টাকা হতে হবে।
গেজেটে তিন ক্ষেত্রেই আবেদনকারী প্রতিষ্ঠানের নিট সম্পদের পরিমাণ সব সময় পরিশোধিত মূলধনের ৭৫ শতাংশের বেশি থাকতে হবে বলে শর্ত রাখা হয়েছে।
ট্রেক পাওয়ার জন্য ১ লাখ টাকা ফি দিয়ে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এই ফি ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে এক্সচেঞ্জ বরাবর জমা দিতে হবে। আবেদন পাওয়ার পর তা যাচাই-বাছাই করে এক্সচেঞ্জ ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে তা মঞ্জুর করবে অথবা বাতিল করবে। আবেদন মঞ্জুর হলে নিবন্ধন ফি বাবদ ১ কোটি টাকা এক্সচেঞ্জ বরাবর ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার করতে হবে।