এর আগে গত (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যানের কাছে তালিকাভুক্ত কোম্পানির নিরীক্ষিত বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন প্রতিবেদন নিয়ন্ত্রক সংস্থায় জমা দেওয়ার শর্ত শিথিল করার আবেদন জানিয়েছিল বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ (বিএপিএলসি)।
সংস্থাটির আবেদনের প্রেক্ষিতে বিএসইসি কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন তথ্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থায় জমা দেওয়ার শর্ত সাময়িক শিথিল করেছে।
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি ও ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাওয়া কঠোর লকডাউনের কারণে বিএপিএলসি এই আবেদন করে।
জানা গেছে, ব্যাংক, বীমা, নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই) ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর আর্থিক বছর ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়। আইন অনুসারে পরবর্তী ১২০ দিনের মধ্যে এসব কোম্পানির বার্ষিক আর্থিক প্রতিবেদনের নিরীক্ষা শেষ করা এবং এর পরের ১৪ দিনের মধ্যে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের কপি বিএসইসিতে জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ হিসেবে আগামী ১৪ মের মধ্যে আলোচিত কোম্পানিগুলোর নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বিএসইসিতে জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেও এবং সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে এরই মধ্যে নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের টিম প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এমন অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে নিরীক্ষা শেষ করা এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে এর কপি জমা দেওয়া অনেকটা দুঃসাধ্য।
অন্যদিকে ব্যাংক, বীমা, এনবিএফআই ও বহুজাতিক কোম্পানি ব্যাতিত অন্য কোম্পানিগুলোর তৃতীয় প্রান্তিক ৩১ মার্চ শেষ হয়েছে। চলতি এপ্রিল মাসের মধ্যে এদের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থায় জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।