বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। বিএনপির কয়েকটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মির্জা আব্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আপনি তো জেনেই ফেলেছেন, তাহলে আমার কাছে জানতে চাইছেন কেন। কী জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু বলব না, আপনি খুঁজে বের করুন। আমি কোনো মন্তব্য করব না।’
গত ১৭ এপ্রিল দুপুরে সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী সংহতি সম্মেলনী-ঢাকার উদ্যোগে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ইলিয়াস আলী গুমের পেছনে আমাদের দলের যে বদমাশগুলো রয়েছে তাদেরকেও চিহ্নিত করার ব্যবস্থা করেন প্লিজ। এদেরকে অনেকেই চেনেন। ইলিয়াস গুম হওয়ার আগের রাতে দলীয় অফিসে কোনো এক ব্যক্তির সঙ্গে তার বাগবিতণ্ডা হয়। ইলিয়াস খুব গালিগালাজ করেছিলেন তাকে। সেই বিষধর সাপগুলো এখনও আমাদের দলে রয়ে গেছে। যদি এদেরকে দল থেকে বিতাড়িত করতে না পারি, সামনে যাওয়া যাবে না।’
অবশ্য পরেরদিন রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে সুর পাল্টিয়ে রাজধানীর শাহজাহানপুরে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘কাটপিস করে ইচ্ছেমতো আমার বক্তব্যকে ব্যবহার করা হয়েছে। কী কারণে করা হয়েছে আমি জানি না। এমন কোনো কথা বলিনি, যার জন্য আমাকে বিব্রত হতে হবে। সরকার বা আওয়ামী লীগ ইলিয়াস আলীকে গুম করেনি- এমন কথা আমি বলিনি। আমার কথা বিকৃত করে লেখা হয়েছে।’