কিন্তু পাকিস্তান বলে কথা! বরাবরই আনপ্রেডিক্টেবল দলটি এই রানও তাড়া করতে পারল না। বরং ইনিংসের এক বল বাকি থাকতেই তারা অলআউট হয়েছে ৯৯ রানে। ১৯ রানের জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায় ফিরেছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।
হারারের এই উইকেটে রান নেয়া যে সহজ জয়, সেটা বোঝা গিয়েছিল জিম্বাবুয়ের ইনিংস চলার সময়ই। তাই বলে ১১৯ রানও তাড়া করতে পারবে না পাকিস্তান! অলআউট হবে একশরও আগে! এতটাও নিশ্চয়ই ভাবতে পারেননি সমর্থকরা।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধুঁকতে ধুঁকতেই এগিয়েছে পাকিস্তান। জিম্বাবুইয়ান বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একদমই হাত খুলে খেলতে পারছিল না তারা। ১৫ ওভারে তুলতে পারে ৩ উইকেটে মোটে ৭২ রান। রানরেট পাঁচের নিচে (৪.৮০)।
তারপরও তখন পর্যন্ত আশা ছিল। উইকেটে যে ছিলেন দলের অধিনায়ক ও ব্যাটিং ভরসা বাবর আজম। উইকেটের প্রতিকূলতা বুঝতে পেরে ধীরগতিতেই খেলছিলেন বাবর। কিন্তু মাথার ওপর রানের চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। সেই চাপ থেকেই ১৬তম ওভারে এসে কভারে জোরে হাঁকিয়ে বসেন বাবর, লুক জঙ্গির ওই স্লোয়ার ডেলিভারিতে মাদভেরের ক্যাচ হন পাকিস্তান অধিনায়ক।
৪৫ বলে ৪১ রান করে বাবর ফেরার পরই হারের শঙ্কা পুরোপুরি ঘিরে ধরে পাকিস্তানকে। এরপর আসিফ আলি (১), ফাহিম আশরাফও (২) রানের চাপে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ হয়েছেন। একটা প্রান্ত ধরে ছিলেন দানিশ আজিজ। ২৪ বলে ২২ রান করে তিনি রানআউটের কবলে পড়লে শেষ আশাটাও শেষ হয় পাকিস্তানের। শেষ ওভারে আরও তিন উইকেট হারিয়ে ৯৯ রানে অলআউট হয় সফরকারিরা।
জিম্বাবুইয়ের পক্ষে বল হাতে সবচেয়ে সফল ছিলেন পেসার লুক জঙ্গি। ১৮ রান খরচ করে একাই তিনি নেন ৪ উইকেট। ২১ রানে ২ উইকেট পান রায়ান বার্ল।
এর আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ধুঁকেছে জিম্বাবুয়েও। ওপেনার তিনাশে কামুনহুকুমা (৪০ বলে ৩৪) ছাড়া বাকিরা কেউ বিশের ঘর ছুঁতে পারেননি। রেগিস চাকাভা ১৪ বলে ১৮, ওয়েসলি মেদভেরে ১৪ বলে ১৬ আর তারিসাই মাসুকান্দা করেন ১০ বলে ১৩ রান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের প্রচেষ্টায় গড়া ১১৮ রানের সংগ্রহই জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়ে গেল।
পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ হাসনাইন আর দানিশ আজিজ।