সম্প্রতি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ২০২০-২১ অর্থবছরে ৮৮ লাখ ৫০ হাজার উপকারভোগীর ভাতা ‘জিটুপি’ পদ্ধতিতে সরাসরি মোবাইল ব্যাংকিং হিসেবে প্রেরণের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।
সভায় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহফুজা আখতার, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নগদ ও বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবায় বিশ্ব কম্পমান। বিগত বছরে করোনা মহামারীতে আমরা নাজুক হয়ে যাইনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে করোনাভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও আমাদের দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্তিমিত হয়নি। আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল ছিল। প্রধানমন্ত্রী সারা বিশ্বে আলোচিত নেতৃত্ব হিসেবে প্রশংসিত হয়েছেন।
নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, প্রায় এক কোটি লোক বিভিন্ন ভাতার আওতায় রয়েছে। করোনা মহামারীকালে এ বিশাল সংখ্যক ভাতাভোগীদের মধ্যে যথাসময়ে ভাতা পৌঁছাতে হবে। ভাতাভোগীরা যাতে কোনো রকম বিড়ম্বনা ছাড়াই যথাসময়ে নগদ ও বিকাশের মাধ্যমে ভাতা পান. সেজন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেন।
তিনি আরও বলেন, করোনা মহামারী চলাকালীন সময়ে প্রায় এক কোটি ভাতাভোগীর সব তথ্য যাচাই করে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের আওতায় আনা একটি চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড জরুরি সেবার অন্তর্ভুক্ত হলে লোকজন নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারবে। এজন্য তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ডগুলোকে জরুরি সেবার আওতায় আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেন।
এ সময় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা প্রদানে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।