ইতোমধ্যেই বিশ্বের অন্তত ১৬৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এতে মারা গেছেন ৭ হাজার ৯৬৫ জন, আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১ লাখ ৯৮ হাজার ১২৯ জন।
এখনও করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা এর উৎস দেশ চীনে। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩ হাজার ২২৬ জন। আর আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৮০ হাজার ৮৮১ জন। গত কয়েক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে তারা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে কেউ মারা যাননি, আক্রান্তের সংখ্যাও খুবই সামান্য।
তবে বিপরীত চিত্র ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে। বর্তমানে করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বেশি ভুগছে ইউরোপের দেশ ইতালি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৪৫ জন, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। সেখানে এ পর্যন্ত মারা গেছেন মোট ২ হাজার ৫০৩ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৩১ হাজার ৫০৬ জন।
এরপরেই রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের ইরান। দেশটিতে একদিনে মারা গেছেন আরও ১৩৫ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ১৭৮ জন। ফলে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮৮ জন, আর আক্রান্ত ১৬ হাজার ১৬৯ জন।
ইতালির পর ইউরোপের মধ্যে স্পেন, জার্মানি, ফ্রান্সের অবস্থাও ভয়াবহ। স্পেনে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৯১ জন, নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৮৮৪ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৮২৬ জন, মৃত্যু ৫৩৩ জনের।
জার্মানিতে নতুন নয়জনসহ মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৬ জন। একদিনেই দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২ হাজার ৯৫ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৯ হাজার ৩৬৭ জন।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ২৭ জন, আক্রান্ত হয়েছেন এক হাজারেরও বেশি। দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ১৭৫ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৭৩০ জন।
যুক্তরাষ্ট্রেও দ্রুত বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন আরও ১৭ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃত্যুর ঘটনা ১০৩টি। এদিন দেশটিতে নতুন করে আরও ১ হাজার ৬৪৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩০৮ জন।
শুরুর দিকে আশঙ্কাজনক হারে বাড়লেও গত কয়েকদিনে করোনা সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছে দক্ষিণ কোরিয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ জন, মারা গেছেন ছয়জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩২০ জন, মৃত্যু ৮১ জনের।
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত ৮১ হাজার ৭২৭ জন চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।