শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, দেশের হাওর অঞ্চলে এরইমধ্যে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে, ৪০ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সরকার ধান ক্রয়ের জন্য দাম নির্ধারণ করেনি। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবার বোরো ধানের উৎপাদন খরচ গড়ে ২৬ টাকার বেশি পড়েছে বলে জানিয়েছে। সেক্ষেত্রে আমরা দীর্ঘ দিন ধরে দাবি করে আসছি যে, উৎপাদন খরচের সঙ্গে ৪০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে ধানের দাম নির্ধারণ করতে হবে। এটা না করলে দেশের কৃষক কৃষি কাজ করে টিকে থাকতে পারবে না। ফলে উৎপাদন খরচের সঙ্গে ৪০ শতাংশ মূল্য সংযোজন করলে ধানের দাম মণপ্রতি হয় ১৫০০ টাকা। এটি অবশ্যই নির্ধারণ করা উচিত।
তিনি আরও বলেন, সরকার গত বছর ধানের দাম ২৬ টাকা কেজি অর্থাৎ ১০৪০ টাকা মণ নির্ধারণ করেছিল, কিন্তু খোলা বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি থাকায় সরকারি গুদামে কৃষক ধান বিক্রি করেনি। তাছাড়া যেহেতু ধান কিনবে কম এবং চাল কিনবে বেশি- সরকারের এই ভুল নীতির কারণে চাতাল ও মিল মালিকরাও সরকারি গুদামে নির্ধারিত পরিমাণে চাল সরবরাহ করেনি। ফলে দেশে সরকারি মজুদ গত দুই দশকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ঠেকেছে। আর এর সুযোগ নিয়ে ব্যবসায়ী বাজার সিন্ডিকেট কারসাজি করে চালের দাম ক্রমাগত বাড়িয়ে জনজীবনে দুর্ভোগ নামিয়ে এনেছে।
বিবৃতিতে খালেকুজ্জামান দাবি জানিয়ে বলেন, সরকারের ভুল নীতির কারণে একদিকে কৃষক ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে বাজারে বাড়তি দামে চাল কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ভোক্তা সাধারণ। কারণ কৃষক ধান উৎপাদন করে, চাল নয়। আর সরকার চাল বেশি কিনে ধান কম কেনে। এতে সরকার মধ্যসত্ত্বভোগী চাতাল ও মিল মালিকদের মুনাফার স্বার্থই রক্ষা করে থাকে। কৃষিতে মূল্য সহায়তা দিয়ে ধানের দাম মণপ্রতি ১৫০০ টাকা নির্ধারণ করে কৃষক ও ভোক্তা বাঁচাতে বোরো মৌসুমে প্রতি ইউনিয়নে ক্রয় কেন্দ্র খুলে খোদ কৃষকের কাছ থেকে কমপক্ষে ৫০ লাখ টন ধান ক্রয় করতে হবে।