সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার নিতে ফের মঞ্চে এসেছেন এবারের সেরা পরিচালক ক্লোয়ি জাও। তার সঙ্গে ছিলেন প্রযোজক ফ্রান্সেস ম্যাকডরম্যান্ড। সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন তিনিই। ফলে এক আসরেই দুটি করে অস্কার ট্রফি পাওয়ার গৌরব অর্জন করলেন তারা উভয়ে।
এ বছরের বেশিরভাগ পুরস্কার জেতায় ছবিটির অস্কারজয়ের সম্ভাবনা প্রবল হয়েছে। গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকেই মূলত অস্কারের দৌড় শুরু করেছিল ছবিটি। তখন ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে স্বর্ণসিংহ ও টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড জিতে আগেভাগে সবার প্রিয় হয়ে ওঠে ‘নোম্যাডল্যান্ড’। এরপর গোল্ডেন গ্লোবস, বাফটা, ক্রিটিকস চয়েস ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট স্পিরিট অ্যাওয়ার্ডসে সেরা চলচ্চিত্র এবং প্রডিউচার্স গিল্ড অব আমেরিকা অ্যাওয়ার্ডসে সেরা হয়েছে এটি।
২০১৭ সালে প্রকাশিত সাংবাদিক জেসিকা ব্রুডারের ‘নোম্যাডল্যান্ড’ গ্রন্থ অবলম্বনে ছবিটি তৈরি হয়েছে। এতে রয়েছে ষাটোর্ধ্ব বিধবা ফার্নের গল্প। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন আমেরিকান তারকা ফ্রান্সেস ম্যাকডরম্যান্ড। কাহিনিতে ২০০৮ সালের আমেরিকায় অর্থনৈতিক মন্দাবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। সেই সময় যাযাবর জীবন কাটান তিনি। নিজের ভ্যানকে ভ্রাম্যমাণ বাড়িতে রূপ দিয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়ান। আয়ের জন্য জুটিয়ে নেন মৌসুমি চাকরি। অন্য যাযাবরদের সঙ্গে আড্ডা দেন। পেশাদার অভিনয়শিল্পীদের পরিবর্তে সত্যিকারের যাযাবরেরা অভিনয় করেছেন সার্চলাইট পিকচার্সের ছবিটিতে।
সেরা চলচ্চিত্র শাখায় এতই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে যে, এই পুরস্কার নিয়ে বাজি ধরা ছিল বেশ কঠিন। তবুও আশা করা হচ্ছিল, ‘নোম্যাডল্যান্ড’ সামনের সারির দুই পুরস্কার সেরা চলচ্চিত্র ও সেরা পরিচালক শাখায় শেষ হাসি হাসবে। সেটাই হলো শেষ পর্যন্ত।
সেরা চলচ্চিত্র শাখায় এবার আরও ছিলো অস্কারজয়ী চিত্রনাট্যকার হারম্যান জে. ম্যাঙ্কিয়েভিচের সাদাকালো বায়োপিক ‘ম্যাঙ্ক’, ষাটের দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী একদল মানুষের সত্যি কাহিনিতে সাজানো ‘দ্য ট্রায়াল অব দ্য শিকাগো সেভেন’, ষাটের দশকে কৃষ্ণাঙ্গদের রাজনৈতিক দল ব্ল্যাক প্যান্থার পার্টির গল্প ‘জুডাস অ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক মেসায়া’, বধির রক ড্রামারকে ঘিরে ‘সাউন্ড অব মেটাল’, মিটু হ্যাশট্যাগে অনুপ্রাণিত প্রতিশোধের আখ্যান ‘প্রমিসিং ইয়াং ওম্যান’, স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া এক বৃদ্ধকে ঘিরে ‘দ্য ফাদার’ এবং কোরিয়ান অভিবাসী পরিবারের গল্প ‘মিনারি’।